নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

মিলন পণ্ডা, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে সমবায় নির্বাচন যেন বিধানসভা ভোটের মতোই…

Nandigram Cooperative Election: TMC Candidate Alleges Death Threats, Shop Burning Warning by BJP

মিলন পণ্ডা, তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্রে সমবায় নির্বাচন যেন বিধানসভা ভোটের মতোই উত্তপ্ত। তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত এক প্রার্থীকে ফোনে প্রাণনাশের হুমকি ও দোকান জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে জোর করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপ ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তীব্র হয়েছে। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ এই ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করেছেন এবং নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

   

Read Hindi: नंदीग्राम में सहकारी चुनाव में टीएमसी समर्थित उम्मीदवार को जान से मारने धमकी

জানা গেছে, রবিবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের কালীচরণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এই সমবায়ে মোট ১২টি আসন রয়েছে, যেখানে তৃণমূল ও বিজেপি উভয় দলই সবকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী অমিয় সাঁতরার ছেলেকে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে যেন তার বাবা প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করেন। ফোনে প্রাণনাশের হুমকির পাশাপাশি অমিয়বাবুর মনসাতলা বাজারে থাকা কাপড়ের দোকান ও বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। ভাইরাল অডিও ক্লিপে এই হুমকির কথোপকথন স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের দাবি, ভয় দেখিয়ে ৫ জুন অমিয় সাঁতরাকে জোর করে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করানো হয়েছে।

Advertisements

তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, অমিয়বাবু যে এলাকায় প্রার্থী হয়েছিলেন, সেখানে মোট ২৮ জন ভোটারের মধ্যে ২৩ জনই তৃণমূল সমর্থক। তাই হারের ভয়ে বিজেপি এই হুমকির পথ বেছে নিয়েছে বলে দাবি তাদের। বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “বিজেপি গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংস করে জিততে চায়। আমরা অমিয়বাবুর পাশে আছি এবং আইনি পদক্ষেপ নেব।” অমিয় সাঁতরা হুমকির পর থেকে প্রকাশ্যে আসেননি, যা পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও বাড়িয়েছে।

এই ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। সমবায় নির্বাচনের এই উত্তেজনা নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে আরও প্রকট করেছে।