TMC: মোদীর সাফারিকে ‘জমিদারী’ আখ্যা তৃণমূল নেতাদের

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ৯ মার্চ সকালে আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক এবং টাইগার রিজার্ভের মধ্যে হাতি এবং জিপ সাফারিতে উঠেছিলেন। তার যাত্রাপথ পার্কের মধ্যে সেন্ট্রাল…

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ৯ মার্চ সকালে আসামের কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্ক এবং টাইগার রিজার্ভের মধ্যে হাতি এবং জিপ সাফারিতে উঠেছিলেন। তার যাত্রাপথ পার্কের মধ্যে সেন্ট্রাল কোহোরা রেঞ্জের মিহিমুখ এলাকায় একটি হাতি সাফারি দিয়ে শুরু করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি একটি জিপ সাফারিও করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পার্কের পরিচালক সোনালী ঘোষ ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তারা। এই নিয়ে আসরে নামল তৃণমূল (TMC)

এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেছেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী আজ উত্তরবঙ্গ আসবেন এবং তার অমৃত বানীর প্রচারের জন্য।’ তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছেন, এখানে আসার আগে তিনি হাতির পিঠে চড়ে ঘুরেছেন আসামে, ঠিক আগেকার দিনের জমিদারদের মতো। এটাই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাভাবিক, কারণ যেভাবে তিনি ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে হাতির বোঝা চাপিয়ে দিয়েছেন।

উন্নয়ন মন্ত্রীর কটাক্ষের রেশ টেনে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব বিমানে চেপে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। অথচ উত্তরবঙ্গের ভাই এবং বোনেরা ব্রিগেডে যাবে বলে ট্রেন টাকা দিয়ে ভাড়া করেছে জেনে কিছু কারণে ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই মনোভাবকে সামন্ত্রতান্ত্রিক বলে আখ্যা দিয়েছেন উদয়ন গুহ। লোকসভা ভোটের আগে, তিনি বাংলার মা বোনদের এর জমদারি ভাবধারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিয়েছেন। তবে সাফারি বিষয়ে একে একে সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে প্রায় অনেককেই।

তৃণমূলের পার্থপ্রতিম রায় নিজেও বাদ গেলেন না সমালোচনা করা থেকে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাফারিকে ‘বিনোদন যাত্রা’ বলেছেন। ১০০ দিনের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা এবং নারায়ন সেনা না দেওয়া সবকিছুতে কারচুপি করেছে কেন্দ্র , এমনটাই বলে শোনা গেল পার্থপ্রতিম রায়কে। তিনি সাফ জানিয়েছেন, বাংলার মানুষ সহ উত্তরবঙ্গের সকল মানুষ শুধুই বঞ্চিত হয়েছে সব ক্ষেত্র থেকে। সেই কারণে বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে কখনই ক্ষমা করবে না ।