তৃণমূল ও বামেদের এক সংখ্যক ভোট, আসানসোলে বিজয়ী প্রার্থী পেতে হল টস

ক্রমেই পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে শুরু করেছে বামেরা। একাধিক পৌরসভায় তৃণমূলের পরেই রয়েছে বামেদের স্থান। বিজেপি রয়েছে তিন নম্বরে। কিন্তু আসানসোলের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল ও বামেরা সমান ভোট পেয়েছে। দুজনেই ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৩৫৮টি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে টসে জিতে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।

Advertisements

আসানসোল পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন আশা প্রসাদ। তনুশ্রী রায় দাঁড়িয়েছিলেন বামেদের হয়ে। পুরসভা ভোটে দুজনেরই ভোট ২ হাজার ৩৫৮টি। বিজেপিপ্রার্থী রেখাকুমারী শর্মা অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছেন। দুই প্রার্থী একই সংখ্যক ভোট পাওয়ায় টস হয়। সেখানেই জেতেন তৃণমূল প্রার্থী। দুটি কাগজে তৃণমূল ও বাম- দুই প্রার্থীর নাম লেখা হয়। তারপর সেগুলি একটি পাত্রের মধ্যে রাখা হয়। এর পর এক গণনাকর্মী একটি কাগজ তুলে নেন। এভাবেই এখন হয় টস।

   
Advertisements

এদিকে চার পুরনিগমের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপুল জয়। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিশ্লেষণ উঠে আসছে বিরোধী দল বিজেপি নেমে যাচ্ছে তিন নম্বরে। আরও তাৎপর্যপূর্ণ, বামফ্রন্ট তথা সিপিআইএমের চমকপ্রদ উত্থান। তারা ভোট শতাংশের হারে দু নম্বরে উঠে এলো। পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল যেখানে বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন সেখানেও বামেরা দুনম্বরে। চন্দননগরেও বামেরা দ্বিতীয়। এমনকি বিধানগরেও দ্বিতীয় হয়েছে সিপিআইএম। তবে তাদের ভোটব্যাংকের হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ শিলিগুড়িতে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। বামেরা তিন নম্বরে। কলকাতা পুরনিগমের ভোটে চমকে দেয় বাম উত্থান। বিধানসভায় শূন্য হয়ে গিয়েও বামেরা কলকাতায় ভোট নিরিখে দ্বিতীয় হয়। সেই ধারা বজায় থাকল চার পুরনিগম ভোটেও।