Siliguri: নেপাল থেকে ভারতে বেআইনি ঢুকে ধৃত ‘কৃষ্ণভক্ত’ রুশ যুবক

প্রতিবেশি দেশ নেপালের বিস্তির্ণ খোলা-অরক্ষিত সীমান্ত ভারতের জন্য বিপজ্জনক তা বারবার বলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নেপালকে তাদের ঘাঁটিতে পরিনত করেছে এমন তথ্য…

Siliguri

প্রতিবেশি দেশ নেপালের বিস্তির্ণ খোলা-অরক্ষিত সীমান্ত ভারতের জন্য বিপজ্জনক তা বারবার বলেছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই নেপালকে তাদের ঘাঁটিতে পরিনত করেছে এমন তথ্য গোয়েন্দা রিপোর্টে এসেছে। পাকিস্তানি, চিনা নাগরিকদের বারবার অনুপ্রবেশ হচ্ছে নেপাল থেকে। হিন্দু জনসংখ্যা অধ্যষিত নেপাল থেকে তীর্থ যাত্রীর বেশধারী অনুপ্রবেশ হয়েই থাকে। তেমনই এক রুশ দেশীয় যুবক ভারতে ঢুকে গ্রেফতার হলো। তাকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) আনা হয়।

শ্রীকৃষ্ণের টানে ভারতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন এই রুশ যুবক। অনুপ্রবেশের অভিযোগে দার্জিলিং জেলার ভারত-নেপাল সীমান্তে ওই বিদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করেছে খড়িবাড়ি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম আলেকজান্ডার। তিনি রাশিয়ার মস্কোর বাসিন্দা। 

আলেকজান্ডারের দাবি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর শিষ্য হতেই চোরাপথে অবৈধভাবে নেপাল থেকে ভারতে আসেন। শনিবার সকাল আটটা নাগাদ সীমান্তের বাজারুছাট এলাকার পিলারের মধ্যে দিয়ে হাঁটা পথে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।

সে সময় তাকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে জাওয়ানরা। তার কাছ থেকে একটি রাশিয়ান পার্সপোর্টের রঙিন জেরক্স কপি পাওয়া গেছে। পুলিশ স্টেশনে নিয়ে এসে তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আলেকজান্ডার দাবি করে গত নভেম্বর মাসে রাশিয়া থেকে নেপালে আসেন। মাঝে তিনি ভারত নেপাল আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের একটি ইসকন মন্দিরেও এসেছিলেন।

ওই রুশ যুবক আরও দাবি করেছেন ইসকন মন্দির এসে চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন জানার পর তার মধ্যে হিন্দুদের সন্ন্যাসী হওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। সেই জন্যই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান নদিয়া যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। জেরার পর আলেকজান্ডার কে খড়িবাড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ আলেকজান্ডারকে গ্রেফতার করেছে। ঠিক কি কারনে ওই রুশ যুবক ভারতে প্রবেশ করলেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গোয়েন্দা বিভাগ জানাচ্ছে, যে কোনও পাকিস্তানি নেপালে এসে বিনা ভিসায় একটি জাল ভারতীয় পরিচয় নিয়ে নেপাল থেকে ভারতে যে কোনও সময় ঢুকতে পারে। সাম্প্রতিক পাক নাগরিক সীমা হায়দরের ভারতে আসার পথ ছিল নেপাল। তিনি যদিও প্রেমের টানে বিয়ে করতে এসেছিলেন তবে তাঁর ভারতে আসতে কোনও ভিসা লাগেনি। হিন্দু বিবাহিত মহিলা সেজে পাকিস্তানি সীমা নেপাল থেকে ভারতে ঢুকে আত্মপ্রকাশ করেন। চলতি বছরে আরও এক পাক মহিলা নেপাল থেকে ঢুকে গ্রেফতার হন। তবে তিনি জন্মসূত্রে ভারতীয়, অসমের শিলচর নিবাসী। বিয়ের পর পাক নাগরিক হন। তিনি পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন বোনের সাথে দেখা করতে। এর আগে একাধিক চিনা নাগরিক নেপাল থেকে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে গ্রেফতার হয়েছেন।