Dakshin 24 Pargana: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পর জ্বলছে গ্রাম, শওকত-সুজনের বাকযুদ্ধ

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। খুনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। গণপ্রহারে এক ব্যক্তির মৃত্যু, একাধিক বাম সমর্থকের বাড়িতে হামলা ঘটেছে। পুলিশের…

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুন নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি। খুনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। গণপ্রহারে এক ব্যক্তির মৃত্যু, একাধিক বাম সমর্থকের বাড়িতে হামলা ঘটেছে। পুলিশের টহল চলছে। বেশকিছু বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। এদিন সকালে তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর বরাবর রাজনৈতিক সংঘর্ষ কবলিত এলাকা। বাম জমানায় CPIM বনাম SUCI সংঘর্ষে একাধিকবার রক্তাক্ত পরিস্থিতি হয়েছিল। তখন জয়নগর ছিল SUCI ঘাঁটি।

এবার দলীয় নেতা খুনের জেরে অগ্নিগর্ভ জয়নগরের পরিস্থিতি নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সওকত মোল্লা সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন সিপিআইএম এবং বিজেপির দিকে। তিনি বলেন ‘সিপিএম এবং বিজেপি আশ্রিত সমাজবিরোধীরা সইফুদ্দিনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এর মূল উদ্দেশ্য হল এটাই যে গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়, তাদের পায়ের তলার মাটি নেই।’

সওকত মোল্লার অভিযোগের পরই সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী সরব। তিনি জয়নগরে ঘটনার সাথে ২০২২-এর ২১ মার্চ বীরভূমের বগটুই গণহত্যার প্রসঙ্গ টেনেছেন। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, বগটুইতে যেমন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুনের পরও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রাম। আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় শিশু-মহিলা সহ ১০ জনের। জয়নগরেও একইভাবে গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার ছক করেছিল তৃণমূল।

সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘অন্তর্দ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ায় দুষ্কৃতীদের বাঁচাতে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের নিশানা করেছে শাসক দল। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন দাবি করছেন, তৃণমূল নেতা খুনের পর জনরোষেই এই হামলা হয়েছে।

মৃত তৃণমূল নেতার বাবা অভিযোগ করেছেন সিপিএম এই ঘটনার পিছনে দায়ী। তবে আক্রান্ত বাম সমর্থকদের কয়েকজন বলেন, নিহত তৃণমূল নেতার সাথে বেশিরভাগ এলাকাবাসীর ভালো সম্পর্ক ছিল। গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য যারা এখানে যারা সিপিআইএম সমর্থক তাদের বাড়িতেই ভাঙচুর করা হচ্ছে জ্বালানো হচ্ছে বাড়ি। ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া বাড়ির এক মহিলা সাইফুদ্দিন লস্কর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বলেছেন, বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন পুরুষ সদস্যরা। দোকান বাড়ি সবই জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে ওরা।