হুহু করে ছড়াচ্ছে ভাইরাস, বাড়ছে পথ কুকুরদের মৃত্যু সংখ্যা

বীরভূম: হুহু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পথ কুকুরদের মৃত্যু সংখ্যা৷ চিন্তায় প্রাণী স্বাস্থ দফতর ও পশুপ্রেমী সংস্থাগুলি৷ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু…

বীরভূম: হুহু করে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ৷ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পথ কুকুরদের মৃত্যু সংখ্যা৷ চিন্তায় প্রাণী স্বাস্থ দফতর ও পশুপ্রেমী সংস্থাগুলি৷ এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩০০-র বেশি পথ কুকুরের৷ সংক্রামিতর সংখ্যা ৮০০টির বেশি৷ ভয়াবহ এই পরিস্থিতি বীরভূমের৷

জানা গিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে পার্ভো ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছে৷ জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এই ভাইরাসে সংক্রামিতের সংখ্যা হুহু করে বেড়ে চলেছে৷ নাজেহাল বীরভূমের প্রাণি স্বাস্থ্য দফতর ও পশুপ্রেমী সংস্থাগুলি৷ এখনও পর্যন্ত সংক্রামিত হয়েছে বীরভূমের ৮০০টিরও বেশি পথকুকুর৷ মৃতর সংখ্যা প্রায় ৩০০-বেশি৷

প্রাণি স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এবারের পার্ভো সংক্রমণ এতটাই মারাত্মক আকার নিয়েছে যে চিকিৎসা করানোর সময়টুকু দিচ্ছে না কুকুররা৷ তাই প্রতিদিন পথ কুকুরের মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে৷ এইভাবে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছে চিকিৎসকরা৷

চিকিৎসকদের মতে, কুকুরের বয়স যখন ৬ মাস সেই সময়ই পার্ভো ভাইরাসের ভ্যাকসিন করানো প্রয়োজন৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করা যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৯১ শতাংশ থাকে৷ কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন সেটি পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে৷

পার্ভো ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কুকুরের রক্ত আমাশা বা রক্তাক্ত ডায়রিয়া হয়৷ যার ফলে মল ত্যাগের সময় মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে, যাকে রক্ত আমাশা বলা হয়৷ শরীর থেকে রক্ত বেড়িয়ে যাওয়ার কারণে এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর৷ কুকুরের জ্বর আসে। যা থেকে বোঝা যেতে পারে কুকুর এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে৷

এই ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুরদের হঠাৎকরেই ওজন কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে৷ পার্ভো ভাইরাসে কুকুরের হৃদ স্পন্দন অনেকটা বেড়ে যায়৷ এই সময় ওদের সারা গায়ে ব্যথা অনুভব হয়৷ চোখ এবং মুখের আশেপাশের কোষগুলির রঙ লালচে হয়ে উঠতে থাকে৷ শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম থাকে৷