Malda: মালদায় পাড় ভেঙে হুড়মুড়িয়ে গঙ্গায় তলিয়ে গেল পুলিশ ক্যাম্প

প্রতিবছরই মালদায় গঙ্গার ভাঙন হয়, কাঁচা বাড়ি, বড় গাছ ও বিঘার পর বিঘা জমি তলিয়ে যায়। এবার গঙ্গায় তলিয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। ঘটনাটি মালদার…

প্রতিবছরই মালদায় গঙ্গার ভাঙন হয়, কাঁচা বাড়ি, বড় গাছ ও বিঘার পর বিঘা জমি তলিয়ে যায়। এবার গঙ্গায় তলিয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। ঘটনাটি মালদার রতুয়ার মহানন্দাটোলার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা যাচ্ছে, রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের মহানন্দাটোলার শ্রীকান্ত টোলায় তৈরি করা হয়েছিল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প। রবিবার রাতে গঙ্গায় তলিয়ে যায় অস্থায়ী ওই পুলিশ ক্যাম্প। এছাড়া নদী গর্ভে তলিয়ে যায় মহানন্দাটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকশো বিঘা জমিও। নদী ক্রমশ এগিয়ে আসছে গ্রামের দিকে। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে ২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনের।

সংবাদমাধ্যমকে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “প্রত্যাকেদিন গঙ্গা নদীর জল বাড়ছে। জলের স্রোত ও বাতাসের ধাক্কায় মাটির নিচের অংশটা কেটে চলে যাচ্ছে। তার ফলে ওপরের অংশটা ভারী হয়ে যাচ্ছে, আর পড়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ বিঘার মতো জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। যেদিন বাতাস কম থাকে, সেদিন একটু কম কাটে। পুলিশ ক্যাম্প করা ছিল এখানে। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙনের জন্য পুলিশরা স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে। গত রাতে ক্যাম্পটা পড়ে গিয়েছে।’

   

ঘটনার জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি জানিয়েছেন, “এই অবিজেপি রাজ্যগুলিকে ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা ও গঙ্গা ভাঙনের টাকা…, যাতে আমার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই, বিলুপ্ত হয়ে যাই, সেই চেষ্টা দিল্লির সরকার করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি, এই ভাঙন রোধ করা হোক।“

রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় আরও বলেন, “ফরাক্কা ব্যারেজ স্ট্যাচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে, পদ্মা গঙ্গা মিলে যাবে, আমার ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব। পূর্ব ভারত উত্তরবঙ্গের মালদা পর্যন্ত ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।“

পালটা জবাব দিয়েছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য রাজ্য সরকার কোনও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কি? রাজ্যের তরফ থেকে কেন্দ্রকে কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কি? কোনও প্রস্তাব তারা এতদিনে পাঠায়নি। আমি সাংসদ হওয়ার পর প্রায় ৮ থেকে ১০ বার বিষয়টা সংসদে তুলে ধরেছি। আমি মাননীয় মন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে বলেছি। মন্ত্রী একটাই উত্তর দিয়েছেন, কোনও প্রস্তাব রাজ্য সরকারের পক্ষ থেক আসেনি। বৈঠকে ডাকলেও কেউ আসেন না। তাহলে কী করে বিধায়ক কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন? আসলে নিজেদের দোষ আড়াল করার জন্য চাপিয়ে দিচ্ছেন। আমি সমর মুখোপাধ্যায়কে বলব, মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ভাঙান, আপনি প্রস্তাব পাঠান, তার কপি আমাকে দেবেন, আমি সাংসদ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে উপযুক্ত অর্থ যাতে বরাদ্দ হয় তার ব্যবস্থা করব।“