সম্প্রতি সর্বভারতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তৃণমূল। ২০২৪ এর নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের জন্য এটা বড় ধাক্কা। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari claims)। তাঁর কথায়, এ নিয়ে অমিত শাহকে (Amit Shah) চার বার ফোন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে সভা ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর৷ সেখান থেকে তিনি বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অমিত শাহকে গুন্ডা বলেছেন। তাঁকে চারবার ফোন করে পা ধরেছেন। শুভেন্দুর দাবি, মমতা নাকি বলেছেন, আমার রাষ্ট্রীয় তকমাটা রাখা যাবে না ২০২৪ পর্যন্ত? আর জবাব অমিত শাহ বলেছেন, না রাখা যাবে না, আপনি তো ভোট পাননি। নির্বাচন কমিশন নিয়মে চলে। আপনি নিয়মের বাইরে গিয়েছেন, তাই আপনি আর সর্বভারতীয় নন।
শুভেন্দু আরও বলেন, কৃষি জমি ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশে মমতা সিঙ্গুর আন্দোলন করেননি। তিনি সবথেকে বড় সর্বনাশ করে গিয়েছেন টাটার কারখানা ধ্বংস করে। তাঁর সংযোজন, ১৬ দিন এখানে বসে ড্রামা করে টাটাকে তাড়িয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিজেপি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তা হলে টাটাকে ফুলের মালা পরিয়ে রাজ্যে আনা হবে।
শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, যদি কৃষিজমি রক্ষার আন্দোলন শিল্প তাড়ানো হয়, তা হলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব কী ভাবে শুভেন্দু দাবি করেন? তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে তো শুভেন্দু এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। যদি ভুল নীতির উপর দাঁড়িয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে তখন শুভেন্দু কেন তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন? তখন কেন আপত্তি করেননি? এত বছর পর কেন? বলছেন?