পুলিশকর্মীর আত্মহত্যার চেষ্টা, ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলির ঘটনাতে রহস্য

ডিউটিরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার (Suicide Attempt) চেষ্টা পুলিশ কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে ইমামবাড়া হাসপাতালে। ওই পুলিশকর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।…

Mystery Behind Police Officer's Suicide Attempt and Shooting Incident at Imambara Hospital

ডিউটিরত অবস্থায় সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার (Suicide Attempt) চেষ্টা পুলিশ কর্মীর। ঘটনাটি ঘটেছে ইমামবাড়া হাসপাতালে। ওই পুলিশকর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত পুলিশকর্মী চন্দননগর পুলিশ লাইনের বারাকে থাকতেন। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করলেন তা নিয়ে জট এখনও খোলেনি। ওই পুলিশকর্মী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত পুলিশকর্মীর নাম হিমাংশু মাঝি। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। চন্দননগর পুলিশ লাইনের র‍্যাফে পোস্টিং ছিল তার। বৃহস্পতিবার রাতে ইমামবাড়া হাসপাতালে পুলিশ লকআপে ডিউটিরত ছিলেন তিনি।

ডিউটিরত অবস্থায় হিমাংশু নিজের সার্ভিস রিভালভার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালে কর্মরত অন্য পুলিশকর্মী ও হাসপাতালের স্টাফরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তারা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন হিমাংশু। তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

হাসপাতালের এক কর্মী বলেন, ‘শব্দ শুনে ছুটে গিয়ে দেখি এই কাণ্ড। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই পুলিশকর্মী। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ এক রোগী বলেন, ‘রাতে এক বিকট শব্দ শুনতে পাই। তারপর থেকেই সবাই ছুটোছুটি করছে। শুনেছি পুলিশ কর্মীর গুলি লেগেছে। কী করে এই কাণ্ড বলতে পারব না।’

পুলিশকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার (Suicide Attempt) খবর শুনে সকালে হাসপাতালে তাকে দেখতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সমীর সরকার। তিনি বলেন, ‘খবর পাই হাসপাতালে গুলি চলেছে। এক পুলিশকর্মীর গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কী করে এই কাণ্ড তা বলতে পারব না। পুলিশ-প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।’ ঘটনার তদন্তে হাসপাতালে পৌঁছেছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এই ঘটনায় আতঙ্কিত পুলিশ কর্মীর গোটা পরিবার।