Paschim Bardhaman: ব্রিটিশ আমলে তৈরি রেল স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত, প্রতিবাদে অভিভাবকরা

কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ভবিষ্যতের কি হবে? এবার ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল আসানসোলের রেল স্কুল। সেই বিদ্যালয় এবার বন্ধের সিদ্ধান্তের…

কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে তাদের ভবিষ্যতের কি হবে? এবার ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল আসানসোলের রেল স্কুল। সেই বিদ্যালয় এবার বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নামলেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। পশ্চিম বর্ধমান জেলার (Paschim Bardhaman) গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

Advertisements

ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। তারপরেই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ আন্দোলন। এক অভিভাবক জানিয়েছেন, ইংরাজি মিডিয়ামে পড়ানোর অনেক খরচ। রেলের এই স্কুলে সেইরকম ব্যবস্থা আছে। এতগুলো বছর এখানে পড়াশোনা করার পর আচমকা জানানো হচ্ছে যে বন্ধ করে দেওয়া হবে স্কুল।

   

আসানসোল রেল ডিভিশনের ডিআরএম প্রমানন্দ শর্মা জানিয়েছেন, রেলের প্রধান কাজ ট্রেন চালানো, মাল বোঝাই করা, যাত্রীদের এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পৌঁছে দেওয়া। তাই রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলের সঙ্গে সম্পর্কিত যে সমস্ত জিনিস রয়েছে তা তারা রেলের কাজে ব্যবহার করবে।

অন্যদিকে রেলের স্কুল বন্ধ নিয়ে দফায় দফায় চলছে আন্দোলন। চরম গরমের মধ্যেও অভিভাবকেরা পথে নেমে দেখাচ্ছে বিক্ষোভ আন্দোলন। তাদের একটাই দাবি, কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না রেলের এই স্কুল।

ব্রিটিশ আমলে আসানসোল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় পরপর তিনটি স্কুল তৈরি করা হয়েছিল। তখন আসানসোল শহরে কোনও বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ছিল না। বর্তমানে আসানসোল শহরের বহু ইংরেজি মাধ্যম স্কুল তৈরি হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থা হয়েছে পড়াশোনার। আচমকা রেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় তাদের বিদ্যালয় বন্ধের। এই সিদ্ধান্তের জেরে চরম অসন্তোষ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। কারণ আসানসোলে বহু গরিব মানুষের ছেলে-মেয়েরাও এই স্কুলে পড়াশোনা করে।

একই সঙ্গে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, মাঝপথে স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে!