সাগরপাড়ায় (Sagarpada) ট্যাবের টাকা না পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে (Student Protest) পড়েছে কাজীপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবনের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা। জলঙ্গী শেখপাড়া রাজ্য সড়কে পথ অবরোধ করে তারা তাদের দাবি জানান। বাঁশ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে তারা জানায়, “আশেপাশের সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা টাকা পেয়ে গেছে, কিন্তু আমাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।”
ছাত্রদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক একাধিকবার টাকা দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করলেও এখনও তাদের কোনও টাকা দেওয়া হয়নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় অবরোধ শুরু করেছে। ঘটনার পর সাগরপাড়া থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে রাজি হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভের ফলে সাগরপাড়া শেখপাড়া রাজ্য সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। বাস, লরি সহ অন্যান্য যানবাহন দীর্ঘ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে পড়ে। অবরোধের ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। অনেক যাত্রীকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়।
ছাত্রদের একজন বলেন, “আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে চাই। সব জায়গায় টাকা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু আমাদের তো কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কিছুই হয়নি। এর ফলে আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তা অবরোধ করেছি।”
এদিকে, প্রধান শিক্ষক অবরোধস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেন। তিনি জানান, “৭৫টি স্কুল এখনও ট্যাবের টাকা পায়নি। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু ডিআই আসার আগে এই সমস্যা সমাধান হবে না।” তবে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হননি এবং তারা জানান, “যতক্ষণ না ডিআই আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাস্তায় বসে বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।”
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং পুলিশ প্রশাসন তাদের শান্ত করতে চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সহনশীল কিন্তু নিজেদের অধিকার আদায়ে স্থির। তারা আরও বলেন, “আমরা নিরপেক্ষভাবে আমাদের দাবি পূরণের জন্য দাবি জানাচ্ছি।”
অবশেষে, পরিস্থিতি শান্ত করতে প্রশাসন শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেয় যে, শীঘ্রই তাদের ট্যাবের টাকা প্রদান করা হবে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট নয় ছাত্রছাত্রীরা। তারা জানান, “কেবল আশ্বাস নয়, আমাদের হাতে টাকা দেখতে হবে।”
বিক্ষোভ চলাকালে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারাও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। তাদের উচিত যথাসময়ে টাকা দেওয়া।”
এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। তারা বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই অবস্থান উদ্বেগের। তারা ভবিষ্যতের জন্য যে শিক্ষা পাবে, তা ভেঙে যেতে পারে। প্রশাসন যেন দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করে।”
এদিকে, প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং তারা আশ্বাস দিয়েছেন যে, দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবে।
অবশেষে, পরিস্থিতি শান্ত করতে সকল পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা করেছে।