নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI) কীভাবে অস্ট্রেলিয়া সফরের (Australia Test Series) প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতের কিংবদন্তি স্পিনার অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। কুম্বলে এবং সুনীল গাভাসকরের মতে, ভারতীয় দলের (Indian Cricket Team) জন্য এই সিদ্ধান্ত বড় ধরনের ভুল হতে পারে, যা পরবর্তী সময়ে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির (Border Gavaskar Trophy) জন্য প্রস্তুতিতে ধাক্কা দিতে পারে।
প্রকাশ্যে এল মালেশিয়ার বিপক্ষে খেলা সম্ভাব্য ভারতীয় ফুটবলারদের নাম, জানুন কারা
ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় একটি ৩ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে বিসিসিআই শেষমেশ সেই ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি ছিল যে, প্রস্তুতি ম্যাচের তুলনায় নেটে অতিরিক্ত সময় কাটানো অনেক বেশি ফলপ্রসু হতে পারে। এ কারণে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্র অশ্বিনদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য এই ধরনের ম্যাচের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করা হয়।
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাবর্তন করার পাঁচটি কারণ কি কি? জানুন
তবে অনিল কুম্বলে মনে করেন, অস্ট্রেলিয়া সফরে যারা প্রথমবার যাচ্ছে, তাঁদের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুম্বলে বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে প্রথম টেস্টের আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যাথার্থ হতো। নেটে কতক্ষণ প্র্যাক্টিস করল, তাতে কিছু যায় আসে না। ম্যাচে মাঠে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের মোকাবিলা করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।” কুম্বলের এই মন্তব্য ভারতের তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য, যারা প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে। যেমন যশস্বী জসওয়াল, সরফরাজ খান, ধ্রুব জুরেলদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পিচের বাউন্স এবং কন্ডিশনকে বুঝে ওঠা অত্যন্ত জরুরি।
জামশেদপুরকে পরাজিত করে কী বলছেন ওয়েন কোয়েল?
সুনীল গাভাসকরও একই রকমের মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “যতটা সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য এটি অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে, ততটা জুনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য এটি অপরিহার্য।” বিশেষত যারা আগে অস্ট্রেলিয়ায় খেলেননি, তাদের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের মতো রাজ্য দলগুলির বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার সুযোগ হলে তরুণ ক্রিকেটাররা পিচের বাউন্স এবং বোলিং আক্রমণকে যথাযথভাবে সামাল দিতে পারবে।
কবে রবিনহোকে পেতে পারে ইমামি ইস্টবেঙ্গল? জানুন
অথচ ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি ছিল ভিন্ন। তাঁরা মনে করে, প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটাররা যদি তাড়াতাড়ি আউট হয়ে যান, তাহলে সারাদিন ডাগ-আউটে বসে থাকতে হবে, যা প্রথম টেস্টের আগে একেবারে অপ্রয়োজনীয় সময় নষ্ট হতে পারে। তাঁদের মতে, নেটে ব্যাটিং করার সময় প্রতিটি ব্যাটার অনেক বেশি বল খেলতে পারেন এবং পিচের বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। তবে কুম্বলে এবং গাভাসকর উভয়েই একমত যে, মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই, বিশেষত নতুন খেলোয়াড়দের জন্য। যা আগামী দিনে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের ফলাফলকেও প্রভাবিত করতে পারে বলেও মনে করছেন বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার।