Purba Medinipur: হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়িতে ছাত্রের দেহ, খুনের অভিযোগ

শিল্পনগরীর হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়ির নীচ থেকে এক কলেজ পড়ুয়ার ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মৃত ছাএের পরিবারের দাবি তাদের ছেলে’কে ছাদ…

শিল্পনগরীর হলদিয়ার প্রাক্তন কাউন্সিলরের বাড়ির নীচ থেকে এক কলেজ পড়ুয়ার ছাত্রের দেহ উদ্ধার হল। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মৃত ছাএের পরিবারের দাবি তাদের ছেলে’কে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত ছাত্র সৌমেন দাসের (১৮)বাড়ি হলদিয়ার ভবানীপুর থানার এলাকায় বাসিন্দা। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য হলদিয়া মহাকুমা হাসপাতালের পাঠিয়েছে। এই ঘটনার ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, হলদিয়ার গান্ধীনগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিকাশ জানার বাড়ীতে ছাএদের জন্য একটি মেস রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে পিকনিক আসর বসে। সেখানেই মদ্যপান হয় বলে অভিযোগ। রাত ১০ টা নাগাদ বাড়ির ছাদের নিচ থেকে সৌমেন রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সৌমেনকে হলদিয়ার বি সি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সৌমেন দাস কাঁথি দেশপ্রাণ গভর্নমেন্ট আইটিআই কলেজের ছাত্র।

পুলিশের অনুমান, ওই মদের আসরেই কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। এদিন সন্ধ্যায় সৌমেনের সঙ্গে বাকি যাঁরা ছিল, তাদের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে চাইছে। একটি  মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনোও ৭ জনকে ইতিমধ্যে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও চলছে।মৃত ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

যদিও এই ঘটনার হলদিয়ার গান্ধীনগরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিকাশ জানা’কে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। তাই কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

হলদিয়া থানার আইসি বলেন ” মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রির্পোট এলে মৃত্যুর কারণ পরিস্কার হবে। এই ঘটনার ৭ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে “।

মৃতের পরিবারের সদস্য শ্রীদেব দাস বলেন ” বিকাল ৫টা বন্ধুরা এসে নিয়ে যায়। প্রথমে যেতে চাইনি, কারণ মাংস খায় না। বন্ধুরা জোর করার পর হলদিয়ার গান্ধীনগরের মেসে যায় । ভাইয়ের ছেলে ছাদ থেকে পড়ে যায়। কখন পড়ে যায় জানে না। খোঁজখবর করার পর দেখে ছাদ থেকে পড়ে গেছে। বিষয় খুবই ধোঁয়াশা রয়েছে। ছেলেটা চার তলা থেকে নিচে পড়লো, কিন্তু মোবাইলটা কিছুই হলো না। পুলিশের তদন্তে দাবি জানাচ্ছি। সেটাতো হওয়ার উচিৎ ছিল। সমস্ত মোবাইলে কল লিস্ট চেক করা হোক “।

মেস মালিকের আত্মীয় বিশ্বজিৎ জানা বলেন ” আমি ছাএদের কাছ থেকে যা জানলাম, এক বন্ধু আমার রুমে থাকে। পরীক্ষা শেষ হতেই একটি পিকনিক আয়োজন করেছিল। রাএী ৯ টা ৪০ মিনিট অন্য একটি রুমের ছাত্র আমাকে ফোন করে। তারপরে তুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। পিকনিক হচ্ছে যে নজরে ছিল না। পুলিশ ৭ জন’কে আটক নিয়ে গেছে “।

মেসে অন্য এক ছাত্র সপ্তর্ষি মাইতি বলেন ” রাত্রীতে ছাদের নিচ থেকে পড়ে গেছে এক ছেলে। আগে কোনদিন দেখিনি ওই ছেলেটাকে। কয়েকজন মিলে বাড়ির চার তলায় পিকনিক করছিল। কিভাবে পড়েছে জানি না “।