Paschim Medinipur: দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি মন্ত্রীর, তৃণমূলে শোরগোল

বিস্ফোরক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। দলের নেতা, বিধায়কদের তাঁর মন্তব্য স্যোশাল মিডিয়ায় শোরগোল ছড়িয়েছে। মন্ত্রীর ভিডিও একাধিক মাধ্যম হয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছাতেই…

বিস্ফোরক মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। দলের নেতা, বিধায়কদের তাঁর মন্তব্য স্যোশাল মিডিয়ায় শোরগোল ছড়িয়েছে। মন্ত্রীর ভিডিও একাধিক মাধ্যম হয়ে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছাতেই তাঁকে শোকজ করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব৷

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি খারাপ লোককে তাঁরা ভালো বলছে। তাহলে আমরা বাঁচব কী করে? খারাপ লোককে খারাপ লোক বলতে হবে৷ ভালো লোককে ভালো লোক বলতে হবে৷ এখানে যদি দেবাদিদেব মহাদেব, সন্ধ্যা রায়, মুনমুন সেন, সায়নী ঘোষ, নজরুল, মিমি… যারা লুটেপুটে খাচ্ছে, তাঁরা যদি সম্পদ হয়, আমাদের পার্টি করা যাবে না।

শালবনীর বিধায়কের কথায়, টাকা ডাকাতি করে যারা সম্পদ হয়, তাঁদের তো মন্ত্রীত্ব চলে গেলে ভালো হয়। ওই ক্যাবিনেটের মন্ত্রীরা সবাই চোর বলছে তো। চোর ডাকাতদের কথা শুনবে কে? দিল্লি বম্বের লোকেরা ডাকাতি করবে কেন? আমরা ওই ক্যাবিনেটে থাকব না৷ থাকাটার উচিত আছে কী? তাহলে আপনাকে পথ দেখাতে হবে৷ আর না হলে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে৷ যতক্ষণ অবধি ন্যায় বিচার না পাবো আন্দোলন করে যাব।

এই ভিডিও ভাইরাল হতেই তা পৌঁছে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। পরে জেলা তৃণমূলের তরফে তাঁকে শোকজ করা হয়৷ এরপরে জেলার নেতৃত্বের কাছে ফোন করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। এমনটা জানা গেছে। তবে মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য শাসক দলের জন্য অস্বস্তি বাড়িয়েছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আবার গরু পাচার মামলায় শ্রীঘরে অনুব্রত মণ্ডল৷ শীর্ষ নেতৃত্বের নাম দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় প্রভাব পড়েছে জঙ্গলমহলে৷ এতে মন্ত্রীর বক্তব্য ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।