এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হতে গ্রেফতার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় টানা ২ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে। আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে মোট ৯ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠানো হয়, কিন্তু ইডি – র ডাকে সাড়া দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আজ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতারে আওয়াজ উঠেছে সব মহলে। ভোটের মুখে দেশজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি। নড়েচড়ে বসেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূলও। আর নড়েচড়ে তো বসারই কথা। তৃণমূল সরকারের দুই মন্ত্রী একজন SSC দুর্নীতিতে ও অন্যজন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বর্তমানে সংশোধনাগারএ রয়েছেন। অতীতেও চিটফান্ড দুর্নীতিতে জেল খেটেছেন তৎকালীন পরিবহনমন্ত্রী মদন মিত্র। যদিও পরে তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
তবে কেজরিওয়াল গ্রেফতারিতে ফুঁসে উঠেছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর কথায় দেশজুড়ে তালিবানি শাসন চালাতে চাইছে বিজেপি। বিজেপির সরকারকে ‘সামরিক সরকার ‘ বলেও কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। তাঁর আরও দাবি, ‘ভোটের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কোনো অস্তিত্বই রাখতে চায় না বিজেপি।’
কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি কী ভয় পেয়েছে তৃণমূল? প্রশ্নের উত্তরে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর দাবি, তৃণমূল ভয় পায় না। এদেশে ব্রিটিশের শাসন ছিল, তারাও মানুষকে জেলে পুড়ে রাখতো, ফাঁসি দিত। কিন্তু দেশ স্বাধীন হয়েছে। বিজেপির সরকারের সৈরাচারী শাসন মানুষ দেখছে। মানুষ এখন অনেক সচেতন। এর বিনাশ ঘটবেই।
তৃণমূল সরকারের দুই মন্ত্রী তো এখন জেলে রয়েছে, কি বলবেন? মন্ত্রীর উত্তর, বিজেপি ইডি, সিবিআই – কে ব্যাবহার করে সবাইকে জেলে পুড়ছে। কিন্তু তাদের কারোর বিচার হচ্ছে না, দিনের পর দিন তারা জেলে পচে মরছে। বিজেপি এটাই উদ্দেশ্য। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, নারায়ণ রাম কেন গ্রেফতার নয়, প্রশ্ন স্নেহাশিসের।