শপথ নিয়ে আর পুরনো জটিলতার পুনরাবৃত্তি চাইছে না তৃণমূল। ফলে সোমবারই রাজভবনে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিধানসভার তরফে।
সদ্য বাংলার চার বিধানসভা কেন্দ্রে (রায়গঞ্জ, রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা, মানিকতলা) উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ পেয়ছে। বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীরা। এই চার জয়ী প্রার্থীর শপথ বাক্য পাঠের জন্য প্রথা মেনে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বিধানসভার তরফে।
বরাহনগর ও ভগবানগোলার দুই জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন বিশ্বাসের শপথ ঘিরে টানাপোড়েন চলেছিল। রাজভবন ও বিধানসভার দ্বৈরথ দেখেছে বাংলা। কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েনেই প্রায় এক মাস কেটে যায়। শেষমেষ বিধানসভায় ধরনায় বসেন সায়ন্তিকা, রেয়াতরা। এরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেছিলেন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য। যদিও ডেপুটি স্পিকার স্পষ্ট বলে দেন, স্পিকার থাকতে তিনি এটা করতে পারেন না। এটা ধৃষ্টতা, অসৌজন্যের প্রকাশ হবে। পরে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই রুল অনুসারে দু’জনকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
জগন্নাথের মাহাত্ম্যেই বাঁচলেন ট্রাম্প! বড় দাবি ইসকনের, কেন?
ফের শপথবাক্য পাঠ করানো হবে উপনির্বাচনে জেতা শাসকদলের চার বিধায়ককে। বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী ও মানিকতলার সুপ্তি পাণ্ডে। নবনির্বাচিত এই চার বিধায়ক এবার শপথবাক্য পাঠ করবেন। এই চার জয়ী প্রার্থীর শপথ বাক্য পাঠ করাতে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।