বাংলা মাসের অগ্রহায়ণ চলছে। এরপর পৌষ তারপর মাঘ। মাসের হিসেবে শীতের কামড় এবার শুরুতেই বেশি। রাজ্যের সর্বচ্চো এলাকা (Sandakphu Snow) সান্দাকফু তুষারে মোড়া। বৃহস্পতিবার নতুন করে তুষারপাত না হলেও দার্জিলিং জেলার কাঞ্চনজঙ্ঘা ও সিঙ্গালিলা অরণ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা রাতে -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামছে। ফলে শেষ রাতে শিশির জমে বরফ। নেপাল সংলগ্ন সান্দাকফু, ফালুটের অনেক অংশে তুষারে মোড়া। পর্যটক, পর্বতারোহীরা সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি শেয়ার করছেন।
অনেকের আশা যেভাবে সম্প্রতি কার্সিয়াংয়ের সিমনায় বরফ পড়েছিল তাতে এবারের শীতে দার্জিলিং শহরেও তুষারপাত হবে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় কাঞ্চনজঙ্ঘার সবকটি শৃঙ্গ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে দার্জিলিং ও কালিন্পং দুই জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে। হিমালয়ের ডুয়ার্স-তরাই এলাকার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে কনকনে শীত। আন্তর্জাতিক সীমান্তের ওপারে ভুটানেও শুরু হয়েছে তুষারপাত। কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় ঠান্ডা বাড়ছে। চলছে খেজুর গুড় জ্বাল দেওয়া।
আকাশ পরিষ্কার। রাজ্যের পশ্চিম দিক থেকে বাধাহীনভাবে ঢুকছে উত্তর-পশ্চিম বায়ু। যে কারণে পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা কলকাতার তুলনায় ৪-৫ ডিগ্রি কম। এই তাপমাত্রা আরও কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী বুধবার ২০ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের তাপমাত্রা আরও কমবে। অন্যদিকে আপাতত দার্জিলিং জেলা ছাড়া অন্য জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
উত্তর পেরিয়ে দক্ষিণেও কণকনে শীত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান, বীরভূমে। জঙ্গলমহল ও খনি শিল্পাঞ্চলের এলাকায় হু হু করে নামছে তাপমাত্রা। বড়দিনের আগে আরও শীত বাড়বে এমনই সম্ভাবনা। গত শীতে ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন পুরুলিয়ার কিছু অংশে মাঠে শিশির জমে তুষারের মতো ছড়িয়েছিল। এবারও তেমন কিছু হোক বলছেন স্থানীয়রা। উত্তরের তুষার মোড়া শীতের সাথে পাঞ্জা কষছে দক্ষিণের খেজুর রসে মৌতাতের ঠাণ্ডা।