Sitrang: সকাল হতেই সন্ধ্যা নামল দিঘায়, খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি

শিওরে সিত্রাং(Sitrang)। উপকূলীয় ভূমি থেকে ক্রমেই দূরত্ব কমছে সিত্রাংয়ের। সোমবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হওয়ার দাপট। তার ওপর অমাবস্যার কোটাল। এই দুইয়ের প্রভাবে ফুলে…

শিওরে সিত্রাং(Sitrang)। উপকূলীয় ভূমি থেকে ক্রমেই দূরত্ব কমছে সিত্রাংয়ের। সোমবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হওয়ার দাপট। তার ওপর অমাবস্যার কোটাল। এই দুইয়ের প্রভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে দিঘার-মন্দারমণির সমুদ্রের জল। জারি করা হয়েছে একাধিক সতর্কতা। আশঙ্কায় সময় কাটছে মানুষের, বারংবার মনের মধ্যে প্রশ্ন হচ্ছে তবে কি আমফান,ইয়াস,ফনীর স্মৃতি ফিরবে (Digha) দিঘায়? আবারো কি দাপট চালিয়ে সবকিছু তছনছ করে দেবে সিত্রাং?

সকাল থেকে কলকাতা-সহ দিঘার আকাশ মেঘলা। তার সঙ্গে ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে হাওয়া দাপট। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে সেখানে। পরিস্থিতি ক্রমে খারাপের দিকে এগোচ্ছে এমনকি প্রশাসনিক আধিকারিকরা ছাতা সোজা করে দাঁড়াতে পারছেন না।

পূজোর সময় যেখানে পর্যটনে ভরপুর থাকে দীঘা সমুদ্র সৈকত সেখানে সমুদ্রতর পুরোটাই জনমানবহীন শূন্য। দিঘা,মন্দারমনিসহ বিভিন্ন সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্রে জয়রাইড বন্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু সুন্দরবনে সিত্রাংয়ের প্রভাব অনেকটাই বেশি পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই সেখানে ফেরি সার্ভিস পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। বারংবার মাইকিং করে প্রচার চালানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে উপকূলে জেলাগুলিকে বারংবার সতর্ক করা হচ্ছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে সিত্রাং ও অমাবস্যার জোড়া প্রকোপে সমুদ্রে জল ৬ মিটার পর্যন্ত বা তারও বেশি জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে উপকূল থেকে নিরাপদ সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত ৩ কোম্পানি এনডিআরএফ ও ২ কোম্পানি এসডিআরএফ দল। সমুদ্র চক্রবর্তীর এলাকায় নজরদারি চালাতে গতকাল রাত থেকেই খোলা রয়েছে কন্ট্রোল রুম।

প্রসঙ্গত আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া শেষ আপডেট অনুযায়ী, দুপুর ১২ টায় সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং বাংলাদেশের বরিশাল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিম অবস্থান করছে সিত্রাং। তার ওপর আজ অমাবস্যা, ভরা কোটাল। এই দুইয়ের একত্রিত প্রভাবে ফের একবার ভয়ংকর দুর্যোগের মুখে দিঘা, মন্দারমনি।

সকাল থেকেই প্রবল জলোচ্ছ্বাস সমুদ্রগর্ভে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা ক্রমেই সময়ের সাথে সাথে আমফান, ইয়াসের ভয়াবহতা উসকে দিচ্ছে। আশঙ্কায় দিন কাটছে পূর্ব মেদিনীপুর দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের।