ভাইফোঁটা নিতে এসে খুন, ডায়মন্ডহারবার সরগরম

ভাইফোঁটার খুশি বদলে গেল দুর্ঘটনায়। দিদির বাড়িতে এসে দিদির আত্মীয়ের হাতে প্রাণ গেল ভাইয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটছে ডায়মন্ডহারবারের কুলেশ্বর এলাকায়। নিহত যুবকের নাম মিঠুন সরদার।…

ভাইফোঁটার খুশি বদলে গেল দুর্ঘটনায়। দিদির বাড়িতে এসে দিদির আত্মীয়ের হাতে প্রাণ গেল ভাইয়ের। বুধবার ঘটনাটি ঘটছে ডায়মন্ডহারবারের কুলেশ্বর এলাকায়। নিহত যুবকের নাম মিঠুন সরদার। মিঠুনের দিদির পারিবারিক গন্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার কুলেশ্বরে ভাইফোঁটা নিতে আসেন মিঠুন সরদার। সঙ্গে ছিলেন তার এক বোন ও জামাইবাবু। এদিনই মিঠুনের দিদির ভাসুরের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে পুরনো বিবাদ নতুন করে শুরু হয়ে। তার জেরেই বাকবিতন্ডা, ঝগড়া। অভিযোগ, মিঠুনের ভাসুরের পারিবারের লোকজন মিঠুনের দিদিকে মারতে আসে। তা ঠেকাতে গেল বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয় মিঠুনের ভাসুরের ছেলে পরেশ মণ্ডল। গুলি এসে লাগে মিঠুনের বুকে ও পিঠে। ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় মিঠুনকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তির বাসিন্দা মিঠুন।

নিহত মিঠুন সরদারের দিদি বলেন, “আমাকে বাঁচাতে যেতেই ওর গুলি লাগে। ভাসুরের ছেলে গুলি করেছে। ভাসুরের ছেলে, জামাই, মেয়ে সবাই ছিল। ভাই গোলামাল থামাতে গিয়েছিল। দুটো গুলি করেছে। একটা বুকে, আর একটা পিঠে লাগে। ওরা আমাকে বারবার মারধর করে। থানায় ডাইরি করে রেখেছি। আমাকে ওরা এখানে টিকতে দেয় না। দুটো ছেলে মেয়েকে নিয়ে থাকি। একটা হস্টেলে কাজ করে সংসার চালাই। পার্টি থেকে আমাদের জায়গা ভাগ করে দিয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা পাঁচিল তুলেছি। সেই জমি পিসির, ওদের নয়। তার জন্য ওদের সিঁড়ি করার জায়গা ছেড়ে দিয়েছি। তার পরেও অত্যাচার করে ওরা। গতকাল ভাই এসেছিল ভাইফোঁটার জন্য। ভাইয়ের জীবনটা চলে গেল।”

নিহতের বোন বলেন, “দিদির বাড়ি এসেছিলাম ভাইফোঁটা করতে। আমার দিদিকে মারতে গিয়েছিল ওরা। ওকে বাঁচাতে গিয়ে আমরা আমরা ভাইকে হারালাম। ওদের পিসির সম্পত্তি নিয়ে গন্ডগোল। দিদিকে বাঁচাতে গিয়ে ভাইয়ের বুকে ও পিঠে গুলি লাগে। আমার স্বামীর বুড়ো আঙুলে গুলি লেগেছে। আমার হাতে মেরেছে।”

ঘটনার পর তদন্ত নেমেছে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিস। অভিযুক্ত পরেশ মণ্ডল ফেরার ছিল। তার বাড়ির ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পরেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কীভাবে পরেশের কাছে বন্দুক এল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।