তৃতীয় তৃণমূল সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। রাজ্যপাল (Bengal Governor) সিভি আনন্দ বোসের ভাষণ দিয়ে শুরু হবে এই অধিবেশন। তার আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার রাজ্যপালকে যে লিখিত বক্তৃতা পাঠিয়েছিল তাতে কেন্দ্র বিরোধী একাধিক মন্তব্য ছিল। রাজ্যপাল বাধ্য করেছে সেই সব বক্তব্য বাদ দিয়ে রাজ্যকে রাজভবনে নতুন ভাষণ পাঠাতে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বুঝেছে যে বাবাসাহেব আম্মেদকর প্রণীত সংবিধানটা সবার ওপরে। তার নীচে সবাই।’ এর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘রাজ্যপালকে রাজ্য মন্ত্রিসভা যে বক্তব্য পাঠিয়েছিলেন তাতে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী ও অনেক রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি রাজ্যপাল মহোদয়কে তাঁর বক্তৃতার আগেই, তিনি তাঁর সেই বক্তৃতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেছিলেন, এগুলো আমি পড়ব না। ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। এই রাজ্য সরকার রাজ্যপালের আপত্তি করা বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নতুন বক্তৃতা পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী লাইনগুলো রাজ্যপাল মহোদয়ের কড়া অবস্থানের জন্য বাতিল করতে, পরিবর্তন করতে।’
একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘আমি একটু আগে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি। তাতে জানিয়েছি, অধ্যক্ষ মহোদয় ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে ২ বিধায়ককে সংবিধান না মেনে শপথ পাঠ করিয়েছেন। এই ২ বিধায়ককে বৈধভাবে শপথ নিয়ে বিধানসভায় অংশগ্রহণ করানো হোক। ত্রুটিমুক্ত করানো হোক। তাদের শপথ নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। আশা করব স্পিকার তাদের শপথ ত্রুটিমুক্ত করে বিধানসভায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেবেন। আর যদি ত্রুটি সংশোধন না হয় তার ফল স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুগতে হবে।’
এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে। রাজ্যপাল কি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবেন, না কি রাজ্য সরকার নতুন কোনো সমঝোতার পথ খুঁজে নেবে?