রাজ্যের গড়িমসি শেষ, এবার স্কুলের পথে পড়ুয়ারা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে খুলল স্কুল। ৩১ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ একথা ঘোষণা করেন। স্কুল খোলার দাবিতে গত কয়েকদিনে…

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে খুলল স্কুল। ৩১ জানুয়ারি সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ একথা ঘোষণা করেন।

স্কুল খোলার দাবিতে গত কয়েকদিনে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলেছে। অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষিকা ছাত্র সংগঠন প্রত্যেকেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল, করোনার মধ্যে বার, জিম খোলা গেলে স্কুল খোলা যাবেনা কেন? বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তাল হয়েছে গোটা বাংলা।

স্কুল খোলার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে ৪ টি মামলা হয়। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব চারটি মামলার একত্রে শুনানি করেন। মামলাগুলির ভিত্তিতে রাজ্যকে দু সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছিল স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য। এর মধ্যেই স্কুল খোলার ঘোষণা করল নবান্ন।

বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুলের পরিবেশ একজন শিশু বা পড়ুয়ার বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি বসে অনলাইন ক্লাস করে সকলেই মানসিক ভাবে বিপন্ন। স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটদের সংখ্যা। বাল্যবিবাহে এগিয়ে পড়েছে বাংলা। এর প্রতিকার একমাত্র সম্ভব হবে যখন বাচ্চারা স্কুলের পথে হাঁটা দেবে।

রাজ্যের নির্দেশ পেয়েই করোনাকালে স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে স্কুলগুলি। সমগ্র স্কুল চত্বর থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্লাসরুম, বেঞ্চ সবকিছুই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনার জেরে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছর নভেম্বর থেকে খুলেছিল স্কুল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলতি বছরের শুরুতেই ফের তালা পড়ে স্কুলে। শেষ পর্যন্ত স্কুল খোলায় খুশি সকলেই।