খুলল স্কুলের দ্বার, ফের কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাজির পড়ুয়ারা

আবারও দির্ঘদিন পর খুলে গেল বিদ্যালয়ের (School) দ্বার। ফের একবার কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিল পড়ুয়ারা। অতিমারির আবহে বৃহস্পতিবার থেকে চেনা ছন্দে ফিরতে…

আবারও দির্ঘদিন পর খুলে গেল বিদ্যালয়ের (School) দ্বার। ফের একবার কাঁধে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিল পড়ুয়ারা। অতিমারির আবহে বৃহস্পতিবার থেকে চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে স্কুল। সকল কোভিড বিধি মাথায় রেখে স্কুল, কলেজে জোর দেওয়া হয়েছে সচেতনতায়।

 

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই ক্লাসরুম থেকে স্কুলবাস, স্যানিটাইজ করা হয়েছে সব। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, সোম থেকে শনি ক্লাস হবে। পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছতে হবে ক্লাস শুরুর আধঘণ্টা আগে। ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী সবাইকে স্কুলে মাস্ক পরে থাকতে হবে। সবরকম কোভিড বিধি মেনে আজ রাজ্যে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করবে। অন্যদিকে, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হচ্ছে, পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচী। প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়াদের আপাতত বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করতে হবে।

কলকাতার বেসরকারি স্কুলগুলি অবশ্য অবশ্য ধাপে ধাপে কাজ করছে। সাউথ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার থেকে শুধু নবম ও একাদশের ক্লাস শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে সাউথ পয়েন্টে দশম ও দ্বাদশের ক্লাস শুরু হবে সোমবার থেকে। আর অষ্টমের ক্লাস শুরু হবে ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলে আজ শুধু দ্বাদশের ক্লাস। বাকি ক্লাস শুরু হবে সোমবার থেকে। গোখেল মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলেও আজ শুধু দ্বাদশের ক্লাস। ফিউচার ফাউন্ডেশনে নবম থেকে দ্বাদশের ক্লাস শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। মডার্ন হাই স্কুলে শুধু নবম এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্লাস।

স্কুল খোলার দাবিতে গত কয়েকদিনে জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ চলেছে। অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষিকা ছাত্র সংগঠন প্রত্যেকেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন ছিল, করোনার মধ্যে বার, জিম খোলা গেলে স্কুল খোলা যাবেনা কেন? বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তাল হয়েছে গোটা বাংলা।

বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুলের পরিবেশ একজন শিশু বা পড়ুয়ার বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি বসে অনলাইন ক্লাস করে সকলেই মানসিক ভাবে বিপন্ন। স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়ছে স্কুল ছুটদের সংখ্যা। বাল্যবিবাহে এগিয়ে পড়েছে বাংলা। এর প্রতিকার একমাত্র সম্ভব হবে যখন বাচ্চারা স্কুলের পথে হাঁটা দেবে।