শারদোৎসব শেষে বাংলার আকাশে আগমন ঘটেছে দীপাবলীর, যা অন্ধকারকে দূর করে আলোর সমারোহে আলোকিত হয়। এই আলোর উৎসবে এবার বিশেষ বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে বহরমপুরের ঐতিহ্যবাহী সান্টাফোকিয়া কালী পুজো মন্ডপ (Santafokia Kali Puja Pandal)। নারী শক্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে পুজো মন্ডপের সজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক অনন্য চিত্র। বর্তমান সমাজে নারীদের প্রতি যে ধরনের অবমাননা ও অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে, তা থেকে মুক্তির এক আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে মন্ডপের থিমে।
নারী শক্তির পুজো: সান্টাফোকিয়ার নতুন বার্তা
দীপাবলির এই সময়টিতে কালী পুজোকে কেন্দ্র করে নারী শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়, কারণ কালী দেবীর আরাধনা মানেই নারী শক্তির আরাধনা। বর্তমান সময়ে যখন নারীদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বাড়ছে, তখন এই পুজো মন্ডপের উদ্দেশ্য হয়ে উঠেছে নারীদের সম্মান সুরক্ষিত করা ও সমাজে তাঁদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত করা।
উদ্বোধনীতে অধীর চৌধুরীর বার্তা
সান্টাফোকিয়ার এই পুজো মন্ডপের উদ্বোধন করেন কংগ্রেস নেতা ও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যায় মন্ডপে এসে তিনি জানান, ‘‘নারী নির্যাতনের ঘটনা আজকে সমাজের জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। নারীদের প্রতি সম্মান এবং তাঁদের সুরক্ষা প্রদান করাই এই পুজোর উদ্দেশ্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে নারী সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন করবে এবং নারীদের সম্মান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবে।’’
মন্ডপ সজ্জা ও দর্শনার্থীদের ভিড়
উদ্বোধনের পর থেকেই সান্টাফোকিয়ার পুজো মন্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। প্রদীপ ও আলোয় আলোকিত মন্ডপটি এক ভিন্ন আভা এনেছে, যা নারী শক্তির এক প্রতীকী চিত্র তুলে ধরে। প্রতিমার স্থাপত্যে এবং মন্ডপের থিমে প্রকাশ পেয়েছে নারীদের সাহস, শক্তি এবং সংগ্রামের প্রতিফলন। নারীদের সম্মান রক্ষায় এই পুজো মন্ডপ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
নারী সুরক্ষায় বার্তা নিয়ে এগিয়ে সান্টাফোকিয়া পুজো
বর্তমান সময়ে নারীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নারী শক্তির আরাধনা ও নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে সান্টাফোকিয়ার কালী পুজো সকলকে নারীদের প্রতি সহমর্মী ও শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বার্তা দিচ্ছে।