Sagardighi by election: সাগরদিঘিতে ফুটল না ফুল, শূন্য বামের ঘাড়ে চেপে বিধানসভায় ঢুকছে কংগ্রেস

775
Sagardighi by election

গণনার গতিতে স্পষ্ট এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) একটি আসন কমতে চলল বিধানসভায় (West Bengal Assembly)। আর শূন্য হয়ে যাওয়ার সিপিআইএমের কোলে চড়ে কংগ্রেস ফের বিধানসভায় ঢুকতে চলল। সাগরদিঘিতে (Sagardighi by election) ক্রমশ জয়ের ব্যবধান বাড়িয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। বিধায়ক হিসেবে বাইরন বিশ্বাসের বিধানসভায় ঢোকা সময়ের অপেক্ষা। এক নজরে সাগরদিঘির ফলাফল এমনই। এই দিঘিতে ফুটলনা জোড়াফুল।

বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি। সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটারদের অধ্যুষিত কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসেরের জয়ে ইঙ্গিত রাজ্যে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে ভাঙন ধরেছে। যদিও এর আগে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচমে বাম প্রার্থী শায়রা শাহ হালিম বড়সড় সংখ্যালঘু ভোট তৃ়নমূলের থেকে কেটে নিলেও তিনি জিততে পারেননি। তবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে জয়ী হল বিরোধীরা।

বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে নিয়ে জয়ের উচ্ছ্বাস সাগরদিঘি জুড়ে। পটকা, বাজি, আবির নেমে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস সমর্থকরা। বরাবরই উপনির্বাচনে শাসক দলই প্রাধান্য পেয়ে থাকে৷ কিন্তু এবার বদলের হাওয়ার পূর্বাভাস আগে থেকেই পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল৷

সাগরদিঘি আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেছিলেন সুব্রত সাহা৷ পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটে মন্ত্রী হন তিনি৷ গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর প্রয়াণে সেই আসনে ভোটের কথা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ২৭ ফেব্রুয়ারি হয় নির্বাচন৷ মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছিল। ভোট পড়ে ৭৮.১৮ শতাংশ। সাগরদিঘি নির্বাচনের প্রভাব কী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়বে? উঠছে প্রশ্ন।