বীরভূম জুড়ে হইহই কান্ড (Rampurhat Massacre)। গণহত্যা কেন্দ্র বগটুই গ্রামে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আনারুলকে গ্রেফতারির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। নির্দেশ পেয়েই তৎপরতা দেখাল পুলিশ। আনারুলের বাড়িতে ঢুকল পুলিশ। কিন্তু অভিযুক্ত পলাতক।
বগটুই গ্রামে গণহত্যার জন্য নিহতদের পরিবারের তরফে বারবার আনারুলকে দায়ি করা হয়। তবে আনারুল নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।
সম্ভবত শাস্তির কোপ পড়তে চলছে টিএমসির জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপর। পুলিশের তৎপরতায় শুরু হয়েছে কটাক্ষ। অভিযোগ, সোমবার গণহত্যা চলাকালীন পুলিশ ছিল নীরব। তাদের সামনেই হয়েছিল হামলা।
এর পর বারবার আনারুলকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছিল। তবে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম আসার কথা ঘোষণা করার পর আর দেখা যায়নি আনারুলকে।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে দশ জনকে থেঁতলে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টে এসেছে এমন তথ্য। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বাড়ি বাড়ি আগুন ধরিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে ঘিরে রেখে খুন করা হয়।
স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস উপ পঞ্চায়েত প্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয় সোমবার। এর জেরে বগটুই গ্রামে গণহত্যা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠী।
তদন্তে উঠে এসেছে বগটুই গ্রামের গণহত্যার সময় স্থানীয় বানী শেখের বাড়িতে ৭ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখেন। এর পর তিনি আনারুলকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেন।