রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের গণহত্যার (Rampurhat Massacre) জেরে দেশ আলোড়িত। রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করেছে। তবে বগটুই যেতে গিয়ে ল্যাংচা খেতে মত্ত বিজেপি প্রতিনিধিদের নিয়ে চরম কৌতুক চলছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে বুধবার সকালেই বাম প্রতিনিধিরা বগটুই গ্রামে যান। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম গ্রাম ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বলেন। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি রামপুরহাট হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। বগটু়ই গ্রামে আগুনে পুড়িয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে দশ জনকে। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনায় সরকার বিব্রত।
হামলায় আহতদের দেখে হাসপাতালে়ই সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন। তিনি বিরোধী দল বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, দিল্লি থেকে কেউ এসে উদ্ধার করবে না।
হাসপাতালে গিয়ে সেলিম একসঙ্গে টিএমসি ও বিজেপিকে বলেন, যাহা বাহান্ন তাহাই তিপান্ন। তাঁর মন্তব্যের জেরে রাজনৈতিক মহল সরগরম। এদিকে বগটুই গ্রামের নিহতদের পরিবার জেলা টিএমসির সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি চায়। তারা দোষীদের ফাঁসির দাবি করে।
বীরভূমে বিরোধী দল বিজেপি অস্তিত্বহীন। পুরসভা ভোটেই তার ফল মিলেছে। শুধুমাত্র রামপুরহাট পুরসভার একটি ওয়ার্ড সিপিআইএমের দখলে। সবকটি পুরবোর্ড তৃণমূল কংগ্রেসের।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে সাথে নিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের অতি দ্রুত বগটুই পৌঁছে যাওয়া, গ্রাম ঘোরা, রামপুরহাটে মিছিল করায় জেলা বাম মহল উজ্জীবিত। বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস স্বীকার করছে, সেলিমের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ে আসছে। তবে বগটুই পরিস্থিতি নিয়ে নীরব টিএমসি।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বগটুই আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন ল্যাংচা খেতে খেতে বিজেপি পিকনিক করতে যাচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, ল্যাংচা খাওয়ার বিষ়যটি তুচ্ছ। সেটিকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করা হচ্ছে।
<
p style=”text-align: justify;”>বিরোধী দল বিজেপি এদিন বগটুই যাওয়ার সময় পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ের খানিক যাত্রা বিরতি দেয়। তারা বিখ্যাত ল্যাংচা খান। সেই ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক চরমে।