Purulia: লাক্ষার দূষিত জলে বিপদের মুখে বলরামপুরবাসী

সরকারী অনুদানে পুরুলিয়ায় তৈরি হয়েছিল লাক্ষা ক্লাস্টার। লাক্ষা শিল্প রীতিমতো সুনাম অর্জন করেছিল। তবে এবার সেই লাক্ষা ক্লাস্টার থেকে জলদূষণের অভিযোগ স্থানীয়দের। কারখানা থেকে‌ বেরোনো…

সরকারী অনুদানে পুরুলিয়ায় তৈরি হয়েছিল লাক্ষা ক্লাস্টার। লাক্ষা শিল্প রীতিমতো সুনাম অর্জন করেছিল। তবে এবার সেই লাক্ষা ক্লাস্টার থেকে জলদূষণের অভিযোগ স্থানীয়দের। কারখানা থেকে‌ বেরোনো জলের ক্ষতি হচ্ছে জলাশয়ের অভিযোগ স্থানীয়দের।অ্যাসিডযুক্ত লাক্ষা জলদূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুরুলিয়ার বলরামপুরে‌। বলরামপুর লাক্ষা শিল্পের জন্য সুনাম অর্জন করেছে।

কুটির শিল্প মজবুত করতে সরকারি আর্থিক অনুমোদনে বিভিন্ন গ্রামে লাক্ষা ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। তবে এখন সেই শিল্পই যে মানুষের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে তা বুঝতে পারেনি বলরামবাসী‌। ক্লাস্টার থেকে বেরোনো অ্যাসিডযুক্ত রঙিন জল এসে মিশেছে পাশের পুকুরে। যা পুকুরের স্বচ্ছ জলকে দূষিত করেছে বলে অভিযোগ।

   

বলরামবাসীদের অভিযোগ, ক্লাস্টারের পিছনে যে পুকুর রয়েছে তাতে লাক্ষা বর্জিত জল এসে মিশেছে। ওই পুকুরের জলেই গোটা গ্রামের মানুষ স্নান সহ জরুরী কাজকর্ম করতেন, তা এখন বন্ধ। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “বলরামপুর ক্লাস্টারের জন্য পুকুরের জল নষ্ট হয়ে গেল।‌ কোনো‌ সেপটিক ট্যাঙ্ক নেই, কিছু নেই। গ্রামের ১৫০০-২০০০ মানুষ স্নান করে।”

যদিও লাক্ষা ক্লাস্টার কতৃপক্ষের দাবি, “গত তিন মাস তাদের কোনো কাজ হয়নি, তাই জল দূষণের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বর্ষার জলের টানে জল দূষণ হলে আমাদের কিছু করার নেই।‌”

জলদূষণের কথা প্রশাসনের কানে উঠতে তারা ব্যবস্থা নেবে বলে মতামত দেয়। শিল্পকেন্দ্রের ম্যানেজারের মত, “যদি এরকম কোনো‌‌ সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ড্রিসট্রিক্ট অ্যাডমিন্সিট্রেশন-কে জানাবেন, আমরা তখন ব্যবস্থা নেব। কলকাতায় সেক্টর ৩ -এ এই সংক্রান্ত বিচারের ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তারা বিচার করেন কারা দোষী। সেরুপ ব্যবস্থা নেওয়া হয়‌।” বর্ষা শুরুর আগেই স্থানীয় ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতে এবিষয় একাধিকবার জানানো হলেও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।