কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র শিরোনামে ছিল পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদা পুরসভা। তৃণমূল কাউন্সিলরের ইস্তফা ঘিরে ফের আলোচনায় এই পুরসভা।
পুর নির্বাচনে ঝালদা পুরসভায় ৫ টি করে আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল ও কংগ্রেস। ২ জন নির্দলের সমর্থনে পুরবোর্ড গঠন করেছিল টিএমসি। নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার ও কংগ্রেসের ৫ জন মিলে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার চিঠি দিয়েছেন আগেই। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলর ও নির্দল হয়ে জেতা শীলা চট্টোপাধ্যায় দিলেন ইস্তফা। ঝালদায় সংখ্যালঘু হয়ে গেল টিএমসি।
- পুরভোটে রাজ্যে বিপুল জয় পায় তৃণমূল।
- বিরোধী দল বিজেপির ঝুলি শূন্য থাকে।
- সিপিআইএম দখলে থাকে তাহেরপুর।
- বহরমপুর হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের।
- ঝালদা পুরসভা ঘিরে চলে রাজনৈতিক খুনের জেরে বিতর্ক।
বিস্তারিত পড়ুন
পুরভোট ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে পুরুলিয়ার ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু।তাঁকে খুনের পর ঝালদায় উপনির্বাচন পরবর্তী সময়ে নির্দলদের সমর্থনে বোর্ড দখল করে তৃ়ণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদায় বইছে উল্টো হাওয়া।
ঝালদা পুরসভার বোর্ড হারাতে চলেছে তৃণমূল। সোমনাথ কর্মকারকংগ্রেসে যোগদান করবেন বলে জামান৷ আর শীলা চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত কারণে তৃণমূল ছাড়বেন বলে ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য, তপন কান্দুর খুনের পর থেকেই ঝালদা জুড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। এরপর একাধিক দুর্নীতিতে একের পর এক তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে একটি পুরবোর্ড নিজেদের দখলে থাকার পরেও হাতছাড়া হলে বিরাট প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে শাসক দলকে৷
ঝালদা কংগ্রেসের বড় ঘাঁটি। পুরভোটে কংগ্রেস হারিয়েছে তাদের শক্তিশালী গড় বহরমপুর। আর সিপিআইএম জিতেছে তাহেরপুর পুরবোর্ড। তাৎপর্যপূর্ণ, বিরোধী দল হলেও রাজ্যে একটি পুরবোর্ড দখল করতে পারেনি বিজেপি।


