Purulia: সিন্ডিকেট ভাগের কারণে আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুন, ধৃত মূল অভিযুক্ত

পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক রাজনৈতিক  খুনের ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। শাসক, বিরোধীদের একাধিক নিহত। নির্বিঘ্নে ভোট করানো দাবিতে  বিতর্কে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর মাঝে…

পঞ্চায়েত ভোটের আগে একের পর এক রাজনৈতিক  খুনের ঘটনা ঘটছে রাজ্যে। শাসক, বিরোধীদের একাধিক নিহত। নির্বিঘ্নে ভোট করানো দাবিতে  বিতর্কে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর মাঝে (purulia) পুরুলিয়ায় শাসকদল টিএমসির নেতা খুনের ঘটনার তদন্তে নতুন মোড়।

আদ্রায়  টিএমসি নেতাকে খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত ধৃত বলে জানাল পুলিশ। নিহত ধনঞ্জয় চৌবেকে আদ্রা শহরে দলীয় কার্যালয়ে গুলি করে খুন করা হয়। গত সপ্তাহে এই খুনের ঘটনা ঘটে।

পাঁচ দিনের মধ্যে আদ্রায় তৃণমূল নেতা খুনের কিনারা। মূল অভিযুক্তকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেটের ভাগ না পাওয়াতেই এই খুন।জানা গেছে, ধৃতের নাম আরজু মালি। দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে থাকত। সেখান থেকেই রেল সিন্ডিকেট চালাত। নিতুড়িয়ার ইনানপুরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিটের সদস্যরা। বুধবার রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে তাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হত আদ্রা ও বোকারো থেকে। এই ডিভিশনে জোনাল টেন্ডার হয়। আগে এই সিন্ডিকেটের মাথা ছিল মুকুল শর্মা। তারপর জিতেন্দ্র পান্ডে হয়ে বর্তমানে-এর রাশ ছিল আরজু মালির হাতে।

আরজু মালিকের হয়ে আদ্রাতে একাধিক জন কাজ করত। সেখানেই বাধা হয়ে গিয়েছিলেন নিহত তৃণমূল নেতা ধনঞ্জয় চৌবে। তাই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে পুলিশ মনে করছে।

প্রসঙ্গত, ২২ শে জুন পুরুলিয়ার রেলশহর আদ্রার তৃণমূলের কার্যালয়ের গুলিতে মৃত্যু হয় ধনঞ্জয় চৌবের। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হন তার নিরাপত্তারক্ষী।এই ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই খুনের মূল অভিযুক্ত তথা আদ্রা ডিভিশনের রেলের সিন্ডিকেটের মাথাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।