Purba Bardhaman: আত্নীয়দের দাবি গুজরাটে ধৃত শুকরালি ‘জঙ্গি নয় সোনার কাজ করত’

‘ছেলে জঙ্গি নয় ও ধর্মীয় আচরণ করত সবসময়’। এমনই দাবি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) নাদনঘাটের বাসিন্দা শুকরালি শেখের মা ও বাবার। কিছুতেই গুজরাট পুলিশের জঙ্গি…

‘ছেলে জঙ্গি নয় ও ধর্মীয় আচরণ করত সবসময়’। এমনই দাবি পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) নাদনঘাটের বাসিন্দা শুকরালি শেখের মা ও বাবার। কিছুতেই গুজরাট পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার দাবি তারা মানতে নারাজ। এদিকে গুজরাটের রাজকোটে ধৃত শুকরালি শেখ ও আরও দুজন যুবককে আল কায়েদা জঙ্গি বলে চিহ্নিত করেছে সে রাজ্যের জঙ্গি দমন শাখা।

গুজরাট পুলিশ জানাচ্ছে, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত শুকরালি শেখের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। তার ঠিকানা পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ব্লকের নাদনঘাট থানা এলাকার ঘোলা এলাকায়। গুজরাট থেকে খবর আসার পর শুকরালির আত্নীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাদের দাবি, ও সোনার কাজ করত। শুকরালির বাবা ও মা জানিয়েছেন, ছেলে ধর্মাচরণ নিয়েই থাকত।

গুজরাট পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার দাবি, আল কায়েদা সংগঠনে সাথে জড়িত ধৃত শুকরালি শেখ, আমন মালিক এবং সইফ নওয়াজ। শুকরালি এবং সইফ পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। আমন হুগলির বাসিন্দা।  গত ৮ মাস ধরে তিন যুবক রাজকোটের সোনিবাজারে থাকত। অভিযোগ তারা স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা করত। তাদের কাছ থেকে কট্টরপন্থী ধর্মীয় ভিডিও মিলেছে। অভিযোগ, সেই ভিডিও দেখিয়ে স্থানীয় যুবকদের মগজ ধোলাই করত ওই তিন যুবক বলে দাবি করেছে গুজরাটের এটিএস।

রাজকোটের সোনিবাজার থেকে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও দশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

শুকরালির পরিবারের দাবি, গত কালীপুজোর পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাজকোটে কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল ছেলে তারপরে আর বাড়ি ফেরেনি। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার। এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। তার বাবা মা এই খবর পেয়ে রীতিমতো হতবাক। কোনও ভাবেই এমন কার্যকলাপের সঙ্গে তাদের ছেলে যুক্ত হতে পারেনা এমনই দাবি তার পরিবারের।

এদিকে জেলার দুই যুবক জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার হওয়ায় ফের পূর্ব বর্ধমান জেলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র নিয়ে চাঞ্চল্য। কারণ, এর আগে ২০১৪ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার সদর শহর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি বিস্ফোরণের তদম্তে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA) দাবি করে এতে জড়িত ছিল বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ভারতীয় শাখা জ়েএমআই।

সেই বিস্ফোরণের তদন্তে উঠে এসেছিল বর্ধমানের খাগড়াগড়ে ঘাঁটি বানিয়ে ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতার ছক করেছিল জামাত উল মুজাহিদিনের বাংলাদেশ (জেএমবি) সংগঠনের ভারতীয় শাখা জেএমআই। সেই খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ঘটনার পর এবার গুজরাটে নাশকতা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাটের দুই যুবক সহ হুগলীর  তারকেশ্বরের একজন আল কায়েদা জঙ্গি যোগ মিলেছে বলে দাবি করা হয়েছে।