Nandigram: ‘মমতার পদত্যাগ চাই’ দাবিতে নন্দীগ্রামে উত্তেজনা, থানা ঘেরাও মহিলা মোর্চার

বাম জমানায় নন্দীগ্রামে (Nandigram) আন্দোলন ছিল রক্তাক্ত। হুগলির সিঙ্গুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের কৃষিজমি ভিত্তিক আন্দোলনের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। সেই নন্দীগ্রাম এখন তৃণমূলের…

বাম জমানায় নন্দীগ্রামে (Nandigram) আন্দোলন ছিল রক্তাক্ত। হুগলির সিঙ্গুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের কৃষিজমি ভিত্তিক আন্দোলনের জেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। সেই নন্দীগ্রাম এখন তৃণমূলের নয়। গত বিধানসভায় এখানেই পরাজিত হন মমতা। জয়ী হন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার নন্দীগ্রাম থেকেই ‘মমতার পদত্যাগ চাই’ দাবি তুলল বিজেপির মহিলা মোর্চা। এমন বিক্ষোভ কর্মসূচিতে রাজনৈতিক মহলে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

ধর্ষণে অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মহিলা মোর্চার সদস্যরা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন। থানার দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে মহিলা মোর্চার সদস্যরা। যদিও আগে থেকেই সচেষ্ট ছিল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ প্রশাসন। থানার ভেতরে থেকে মহিলা মোর্চার সদস্যদের ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ, পাল্টা গেটের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন শতাধিক মহিলা মোর্চার সদস্য। তারপরে কয়েক সদস্যের মহিলা প্রতিনিধি দল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিকের ডেপুটেশন কাছে জমা দেন।

জানাগেছে, রবিবার সকালে নন্দীগ্রাম থানায় গণধর্ষণে অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে ডেপুটেশন দিতে আসেন শতাধিক মহিলা মোর্চার সদস্যরা। হাতে প্ল্যাকার নিয়ে আসের মহিলা মোর্চা সদস্যরা। লেখা ছিল ‘অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ চাই’, অন্য একটি প্লাকার্ডে লেখা ছিল ‘কামদুনি থেকে নন্দীগ্রাম এখনোও নির্যাতিতার কান্না শুনি’। ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহিলা হয়েও, মহিলারা নির্যাতিতা হচ্ছে?’

জোর করে থানায় ঢোকার চেষ্টা করেন মহিলা মোর্চার সদস্যরা। পুলিশ আগে থেকেই ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। পুলিশের সঙ্গে মহিলা মোর্চার সদস্যদের কার্যত ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন ” গত ১০ ই জানুয়ারী নাবালিকার উপর যেভাবে শারীরিক অত্যাচার চালানো হচ্ছে তারই প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ আধিকারিকের কাছে ডেপুটেশান দিলাম। কেন নন্দীগ্রামে নারী এবং বাড়ীর মেয়েরা সুরক্ষিত নয়? এই ঘটনার পর বাড়ির মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তি চাই”।

কয়েকদিন আগেই নন্দীগ্রামে টিউশন পড়তে যাবে এক ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মাছের ভেড়িতে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠে। এই ঘটনায় কার্যত উত্তাল হয়, নন্দীগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে করে এই ঘটনার তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। যদি অভিযুক্তরা এখনও পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন।