Divestment: বিলগ্নিকরণে রাশ টানতে পারে কেন্দ্র

দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। ইতিমধ্যেই শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোট বাঁধার চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ ইন্ডিয়া বনাম ভারত এই হাওয়া তুলে ভোটের দামামা এক প্রকার বেজে উঠেছে…

India's divestment target

দিল্লি: লোকসভা নির্বাচন আসন্ন। ইতিমধ্যেই শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধীদের জোট বাঁধার চেষ্টা শুরু হয়েছে৷ ইন্ডিয়া বনাম ভারত এই হাওয়া তুলে ভোটের দামামা এক প্রকার বেজে উঠেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারও সাবধানে পা ফেলতে চাইছে ৷ এমন কিছু করতে চাইবে না যাতে ভোটাদের ক্ষোভকে কাজে লাগানোর সুযোগ পায় বিরোধীরা ৷ সে কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র বিলগ্নিকরণে (Divestment) রাশ টানতে পারে বলে সরকারি সূত্রের খবর।

ফলে পরের অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) তার লক্ষ্যমাত্রা চলতি অর্থবর্ষের থেকে কম তো হবে বটেই, এমনকি গত ৯ বছরের সাপেক্ষে সব থেকে নীচে নামতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি অবশ্য কোনও সঠিক পরিসংখ্যান দেননি কারণ অর্থ মন্ত্রণালয় আগামী বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তুত করছে, যা ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে পেশ করা হবে।

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী সরকার বিলগ্নিকরণ ও বেসরকারিকরণে জোর দিতে চেয়েছিল । চাইলে কি হবে তথ্য বলছে, গত ন’বছরে মাত্র দু’বার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পেরেছে এই সরকার। এদিকে ২০২০ সালে একাধিক ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থা বিলগ্নির পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়ার নিলাম সফল হয়েছে। আবার চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্র বিলগ্নির লক্ষ্য ঠিক করেছিল ৫১,০০০ কোটি টাকা। তবে সেটাও আদৌ ছোঁয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।

সরকারি সূত্রের খবর, এই অবস্থায় আগামী অর্থবর্ষে ওই লক্ষ্য কী হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না । তবে ভোটের কথা মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হবে তা বলাই বাহুল্য ৷ সেক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ কর্মসূচি থেকে কেন্দ্র কিছুটা চোখ সরিয়ে রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ১ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী বাজেট তৈরিতে ব্যস্ত অর্থমন্ত্রক। ফলে বিলগ্নিকরণ নিয়ে সংবাদ সংস্থার প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

প্রসঙ্গত, বিভিন্নমহলের বক্তব্য , কর্মীদের ও ইউনিয়নের বিরোধিতা মাথায় রেখে ক্ষমতায় থাকা সব সরকারই ভোটের আগে বিলগ্নিকরণ এবং বেসরকারিকরণ থেকে পিছিয়ে আসছে। তার উপরে বেশ কিছু বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শেয়ার বিক্রি হয়ে গিয়েছে (আইনত কেন্দ্রের হাতে থাকতে হয় ৫১%)। ফলে আগামী বছরে বিলগ্নিকরণের লক্ষ্যে লাগাম দিতেই পারে ৷