অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ইস্তফা দিলেন নদীয়ার চাকদহের প্রধান। চাকদহের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮ ঘন্টা সময় দিলেও তার আগেই ইস্তফা পত্র ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে পাঠিয়ে দেন তাতলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মহানলা গ্রামের ধনিচার প্রধান পার্থপ্রতীম দে। যদিও জনসংযোগ বজায় না রাখার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।
জনসংযোগ বজায় না রাখায় পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল নদিয়ার চাকদহে। ফের পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বক্তব্যের শুরুতেই খোঁজ শুরু করেন মহানলা গ্রামের প্রধান পার্থপ্রতীম দে’র। তিনি জনসভায় উপস্থিত কিনা, বারবার সে প্রশ্ন করতে থাকেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানতে চান, “গ্রামটায় শেষ কবে গিয়েছিলেন?” তারপর নিজেই বলতে শুরু করেন, ওই গ্রামটিতে কয়েকটি তফশিলি উপজাতি পরিবারের সদস্যদের বাস। গ্রাম থেকে কিছু অভিযোগ পেয়ে চারজনকে গ্রামে পাঠিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁদের কাছে ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ৪ বছরের মধ্যে একবারও গ্রামে যাননি পঞ্চায়েত প্রধান।
কড়া ভাষায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশে আরও বলেন, “মানুষ সার্টিফিকেট দিলে প্রধান, নইলে নয়। মানুষ সার্টিফিকেট দেননি। আপনি প্রধানের মতো কাজ করেননি। যদি ৪ বছরে গ্রামে একবারও না যান তাহলে প্রধানের চেয়ারে বসার অধিকার নেই আপনার। সোমবার সকালের মধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেবেন।”তার আগেই রবিবার ইস্তফা দিলেন প্রধান।