Politics: কাটমানির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় শোকজ‌ বড়ঞা থানার ওসি

দিন দুয়েক আগেই পুলিশ কর্তার এক বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে(politics) তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন দাবি করেন,”ঠিকাদাররা জল মিশিয়ে…

দিন দুয়েক আগেই পুলিশ কর্তার এক বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে(politics) তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার ওসি সন্দীপ সেন দাবি করেন,”ঠিকাদাররা জল মিশিয়ে কাজ করত। সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছি”। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনই বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই ওসিকেই কাটমানির অভিযোগে শোকজ করলেন এসপি। 

 প্রকাশ্যে ওসি সন্দীপ সেনের এরুপ বক্তব্যের পরেই এসপির রোষানলে পড়তে হয়েছে তাকে। “প্রকাশ্যে কেন এরূপ মন্তব্য?” এই বলেও ওসিকে জবাব তলব করেছে এসপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে গ্রামবাসী বেহাল রাস্তা নিয়ে একটি গণস্বাক্ষর জমা দেয়। এসপির শোকজের জবাবের সঙ্গে গণসাক্ষরের কপি পাঠিয়েছেন বড়ঞা থানার ওসি। পুলিশ অফিসারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন সাহোড়া গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, কয়েক বছর আগে শেষ রাস্তার কাজ হয়েছিল। এখনও গ্রামে অনেক রাস্তাই কাচা। 

   

কালীপূজোর এক‌ অনুষ্ঠানে ওসি সন্দীপ সেন জানান, এলাকায় এক ঠিকাদার রাস্তা তৈরি করার জন্য ৪০ শতাংশ কম দর দিয়ে টেন্ডার পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, সেই ঠাকাদার নিজে ২০ পার্সেন্ট খেয়েছে। বিডিও অফিসে ৪ পার্সেন্ট দিয়েছে। আগের ওসিকে ৫ পার্সেন্ট দিয়েছে। আর খ্যাঁকশিয়ালের বাচ্চাদেরকে আরও প্রায় ৫ পার্সেন্ট দিতে হয়েছে”। ওই ঠিকাদারকে তুলোধোনা করে তিনি বলেন, “১০০ টাকার মধ্যে ২৫ টাকা দিয়ে ঘণ্টা কাজ হবে!”

ওসি আরও বলেন, তিনি দায়িত্বে আসার পর এসব বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকায় সরকারি প্রকল্পের কাজ হলে স্থানীয় মানুষদের বুঝে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি। এমনকি বিধায়ককে ভালো ভালো দায়িত্ববান ছেলেদের নিয়ে একটা রিকনস্ট্রাকশন কমিটি গড়ার কথাও বলেন তিনি। 

২০১৯ সালের পর বঙ্গ রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছিল কাটমানির প্রসঙ্গ। এমনকি প্রকাশ্যে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতারা। এমনকি বিরোধী পক্ষের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে। কাটমানি ও দুর্নীতির অভিযোগে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে শাসকদলের দিকে। এখন পুলিশের আধিকারিকের মুখে রাস্তা নিয়ে কাটমানির প্রসঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। প্রশাসনিক আধিকারিকের মুখে প্রকাশ্য এরূপ বক্তব্য ফের একবার শাসকদলের দিকে আঙুল তুলছে।