Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে সরগরম সন্দেশখালি

শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা। সেই সন্দেশখালিতেই শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড়। শুক্রবারও দফায় দফায় উত্তেজনা। ক্ষোভের আগুন। সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকার মধ্যে…

Sandeshkhali, political tension, anger, news

শেখ শাহজাহান। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা। সেই সন্দেশখালিতেই শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড়। শুক্রবারও দফায় দফায় উত্তেজনা। ক্ষোভের আগুন। সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকার মধ্যে ৯ টি দ্বীপ। এরমধ্যে দুটি দ্বীপ হল সন্দেশখালি এবং জেলিয়াখালি।

এই জেলিয়াখালিতেই জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। জ্বলল তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার তিনতলা বাড়ি। নেভানোর ব্যর্থ চেষ্টা। পুড়ে খাক পোলট্রি ফার্মও। এই ঘটনায় আট জনকে আটক করেছে পুলিশ। অশান্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা বলে জানান রাজ্যের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। তিনি বলেন, ‘কিছু ইনসিডেন্ট ঘটেছে। প্রচুর ফোর্স মোতায়েন আছে। যারা ভায়োলেন্স করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুধবার রাতে আগুন ধরানো হয় শাহাজাহানের অনুগামী শিবপ্রসাদ হাজরার সন্দেশখালির মুরগির খামাড়ে। শুক্রবার ওই তৃণমূল নেতারই আরও একটি মুরগির খামাড়ে আগুন। এবার পুড়ে খাক জেলিয়াখালির চারটি ফার্ম। শুক্রবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য শিবপ্রসাদ হাজরার জেলিয়াখালির বাড়িতেও।

অনেক দূর থেকেই শাহজাহানের সাগরেদ শিবুর বাড়ির আগুনের ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। স্থানীয়দের কেউ কেউ বালতি বালতি জল টেনে নিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু কোনও লাব হয়নি। এরপরেই এলাকায় ঢোকে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ভাঙচুর-আগুনে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। বিক্ষোভকারীদের মারধরের অভিযোগেও শিবু হাজরার দু-একজন অনুগামীকে আটক করে পুলিশ।

অন্যদিকে শুক্রবারও লাঠি-ঝাঁটা নিয়ে পথে নামেন মহিলারা। বিক্ষোভকারী মহিলাদের হাতে ছিল জুতোর মালাও। দুই শাহজাহান অনুগামীকে গ্রেফতারির দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা। হাতে জুতোর মালা। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘পুলিশ যদি না গ্রেফতার করে এই জুতোর মালা পুলিশের গলায় পরাবো।’ বিকেলের দিকে ঝাঁটা-লাঠি হাতে থানার সামনে ফের বিক্ষোভ। সেসময় অনেকেরই তখন মুখ ঢাকা। কিন্তু কেন? জবাবে এক বিক্ষোভকারী বললেন, ‘মুখ চিনে চিনেই তো কেস করছে। সেই জন্য মুখ ঢেকে রেখি। বাড়ি গিয়ে হামলা করলে তখন তো পুলিশ ধরবে না। ধরবে আমাদের স্বামীদেরকে।’

পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। হিংসা ভুলে শান্তির বার্তা দেয়। মাইকিং করে বলা হয়ে, ‘আপনাদের হাতে লাঠি আছে। এইভাবে অবস্থান করা যায়। না। আপনাদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে একে থানায় জমা দিন। পুলিশ সেইভাবে অ্যাকশন নেবে।’