নওশাদকে আটকে রেখেছে পুলিশ, ভাঙড়ে প্রবল উত্তেজনা

শুক্রবার সকালে নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে পাড়লেন না ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আজ ভাঙড়ের উদ্দেশে যান। তবে আইএসএফ বিধায়কের গাড়ি…

শুক্রবার সকালে নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে পাড়লেন না ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আজ ভাঙড়ের উদ্দেশে যান। তবে আইএসএফ বিধায়কের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ বলেই অভিযোগ।

জানা গয়েছে, ভোট সন্ত্রাসে নিহত আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ভাঙড়ের হাতিশালা মোড় থেকে কিছুটা দূরেই তাঁকে গার্ড রেল দিয়ে ব্যারিকেড করে আটকে দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে তাই বিধায়ককে আটকানো হয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয় যে এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা ভেঙে বিধায়ক এলাকায় আবারও অশান্তির আবহ তৈরি হতে পারে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ডিএসপি ক্রাইম-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

   

এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে নওশাদ বলেন,“আমি বিধায়ক। অনেকে ফেক এমএলএ গাড়িতে লিখে ঘোরে। ফেক এমএলএ বিধানসভায় ঢুকে গিয়েছিল। আমি ফেক নই। আমার আইডি কার্ডও আছে। দেখতে পারেন।” তখন ওই মহিলা পুলিশকর্মী জানিয়ে দেন যে তাঁর কাছে ‘অর্ডার নেই সাহেব।‘ পাল্টা বিধায়ক বলেন, “আমি এলাকার বিধায়ক। আমি আমার এলাকায়ও যেতে পারব না?”

নওশাদ বলেন, “অন ক্যামেরা বলছি, এসপি ম্যাডামকে প্রস্তুত থাকতে বলুন। ওনার বিরুদ্ধে ক্যানিংয়ের দিকে একটা প্রশ্ন উঠেছে। আপনারা অনৈতিক কাজ করেছেন। কোর্টে জবাব দিতে হবে। তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।” অভিযোগ করা হয়েছে যে বৃহস্পতিবার এলাকায় শওকত মোল্লাদের দেখা গিয়েছে। হাতিশালা মোড়ের কাছে আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লারা সাংবাদিকদেরও মুখোমুখি হন।

নওশাদকে আটকে দেওয়া প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমি যতটুকু জানি ওখানে একটা ১৪৪ ধারা চলছে। আমরা কেউই ঢুকতে পারছি না। আর আমার প্রশ্ন, উনি কি ওখানে আবার উস্কানি দেওয়ার জন্য যাচ্ছেন? আমার মনে হয় নওশাদ চাইছে, পুলিশের সঙ্গে তিন ঘণ্টা কাউন্টার করে তিনজন মায়ের কোল যেভাবে খালি হল, আবারও তা হোক।”

তবে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গাড়িতেই বসে রয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি একেবারে অনড়।