এই পথে না হাঁটলে মোদীজির নেতৃত্বে দেশের মানুষ বিপদে পড়বে: সুজন চক্রবর্তী

কলকাতা: ট্রাম্পের শুল্ক বাণে দেশের শিল্পাঞ্চলে ত্রাহি ত্রাহি রব। বুধবার থেকে ভারত থেকে রফতানিকৃত পণ্যে আমেরিকা ৫০ শতাংশ শুল্ক ও জরিমানা বসানোয় মাথায় হাত বস্ত্র…

এই পথে না হাঁটলে মোদীজির নেতৃত্বে দেশের মানুষ বিপদে পড়বে: সুজন চক্রবর্তী

কলকাতা: ট্রাম্পের শুল্ক বাণে দেশের শিল্পাঞ্চলে ত্রাহি ত্রাহি রব। বুধবার থেকে ভারত থেকে রফতানিকৃত পণ্যে আমেরিকা ৫০ শতাংশ শুল্ক ও জরিমানা বসানোয় মাথায় হাত বস্ত্র থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ, রত্ন থেকে কুঁচো চিংড়ির বাজারে। এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা বোঝানোর চেষ্টা করছে, এতে ‘আমেরিকার ঘাটা, হামারা কুছ নেহি যাতা’! অর্থাৎ, শুল্ক আদায়ে ক্ষতি আমেরিকার, ভারতে কোনও আহামরি প্রভাব পড়বে না!

সরকারের তরফে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আর ‘স্বদেশিকতা’র বুলি আওড়ানো আর মৌখিক কিছু আশ্বাস দেওয়া ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোনও পাকাপোক্ত সমাধানের পথ দেখানো হয়নি। এই পরিস্থিতির জন্য ট্রাম্প-মোদী উভয়কেই বিঁধে সমাধানের পথ দেখালেন বর্ষীয়ান সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “শুল্ক যুদ্ধে ভারত সহ ব্রিকস (BRICS) দেশগুলি রুখে দাঁড়ালে ট্রাম্পকে হাবুডুবু খেতে হবে। পালাবার পথ পাবে না ট্রাম্প ও তাঁর দোসররা।”

   

ভারতের বার্ষিক প্রায় ৮৭০০ কোটি ডলারের রফতানির বাজার প্রায় ৪৭০০ থেকে ৪৮০০ কোটি ডলার ধাক্কা খাবে। ইতিমধ্যেই সুরাত, নয়ডা, তিরুপুরের মত শিল্পাঞ্চল গুলি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। গত ৭ আগস্ট ২৫% শুল্ক চাপানোর পরেও যেখানে চিনের থেকে ভারতের কিছুটা এগিয়ে থাকার কথা ছিল, ৫০% সেখানে ভারতের বাণিজ্য সেক্টরের কোমর ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতি থেকে কর্মসংস্থান সব ক্ষেত্রেই।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ভারতের জিডিপিতে (GDP) ০.৫ থেকে ১ শতাংশ পর্যন্ত ধাক্কা লাগতে পারে। কাজ হারাতে পারেন লক্ষাধিক মানুষ। এই বিষয়ে সিপিএম নেতার কটাক্ষ, “আমেরিকার চোখ রাঙানি এবং থ্রেট ভারতকে অসুবিধায় ফেলতে চায়। সম্মানহানি ঘটাচ্ছে। আব কি বার ট্রাম্প সরকার, হাউডি মোদী কি এর দায় স্বীকার করবেন? মোদীজির নেতৃত্বে দেশের মানুষ বিপদে পড়বে!”

Advertisements

তাহলে সমাধান কি?

“ভারত ব্যতীত অন্যান্য ব্রিকস (BRICS) দেশগুলো বিকল্প মনোভাবের দিকে রয়েছে। তবে ভারতও সেই পথে হাঁটবে কিনা তা আমি জানি না” বলে উল্লেখ করেন সুজন চক্রবর্তী। ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকার মত একমাত্র বিকল্প পথ অবলম্বনই ভারতকে রক্ষা করতে পারে এবং “ট্রাম্পের মুখ কালো করে দিতে পারে” বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলার জন্য ব্রিকস নির্দেশিত পথে হাঁটাই একমাত্র সুবিধাজনক সমাধান বলে মনে করছেন সিপিএম নেতা।