Paschim Medinipur: পুরভোটে সুশান্ত এফেক্টে জঙ্গলমহল সরগরম, CBI ভরসা নেই

শুধুমাত্র আইওয়াশ, রাজ্যে সিবিআইয়ের অনেক কেস রয়েছে কিছুই হয়নি,বাম ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত…

susahnta ghosh

শুধুমাত্র আইওয়াশ, রাজ্যে সিবিআইয়ের অনেক কেস রয়েছে কিছুই হয়নি,বাম ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সিপিআইএম জেলা সম্পাদক সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ এমনই।

হাওড়ার ছাত্র নেতা আনিস খানের মতো একজন প্রতিবাদী কন্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য রাজ্যের শাসকদল তাকে খুন করে তাদের নিজেদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করেছে বলেও মন্তব্য করেন সুশান্ত ঘোষ। বুদ্ধিজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আজকে গোটা রাজ্য জুড়ে ছাত্র যুবরা উত্তাল,শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ তারাও রাস্তায় নামছেন।যদেরকে একসময় আমরা বুদ্ধিজীবী বলে জানতাম অনেকেই এখন বুদ্ধিজীবী নয় তারা এখন বিক্রি হয়ে গেছেন মুখ লুকিয়েছেন।”

সিপিআইএমের দপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষ সদ্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দলের সম্পাদক হয়েছেন। তিনি বাম জমানার গড়বেতার বিধায়ক ছিলেন। দীর্ঘ তিন দশকের মন্ত্রী। বাম জমানায় নেতাই হত্যাকাণ্ড ও বেনাচাপড়া কঙ্কাল কান্ডে নাম জড়ায়। বেনাচাপড়া কাণ্ডে জেলে যান। পরে আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি জেলায় ফেরেন গত বিধানসভা ভোটের আগে। ভোটে জিততে পারেননি। সুশান্ত ঘোষ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বিপক্ষ শিবিরের নেতা বলে পরিচিত, বুদ্ধবাবুর সমালোচনা করা দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে তিনি দলে ফিরে জেলার রাজনীতিতে ফের নিজের আসন শক্ত করেছেন।

পুরনিগম নির্বাচনে রাজ্যে বিরোধী দল বিজেপি তিন নম্বরে নেমে গেছে। বামফ্রন্ট উঠে এসেছে দ্বিতীয় স্থানে। পৌর ভোটে সেই ধারা থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জেলায় পৌর নির্বাচনে শক্তিশালী ভূমিকা নিতে সুশান্ত ঘোষ নেমে পড়েছেন। সিপিআইএম প্রার্থীদের নিয়ে চন্দ্রকোনা পৌরসভার গাজীপুর থেকে জয়ন্তীপুর পর্যন্ত মিছিল করেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর রাজনৈতিক কার্যাকলাপে বাম শিবির চাঙ্গা।

মিছিল শেষে সুশান্ত ঘোষ বলেন, দিল্লি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে সিবিআই আর রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশ। সিট গঠন শুধুমাত্র আইওয়াশ। রাজ্যে সিবিআইয়ের অনেক কেস রয়েছে কিছু হয়নি, আমরা আনিস খান খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছি।

তিনি বলেন, সিবিআইয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আছে বলে মনে হয়না। আনিস খান খুনের ঘটনায় এসপির সাসপেন্ড হওয়া উচিত ছিল। প্রাণ সংশয় নিয়ে মৃত্যুর তিন দিন আগেও জানানো হয়েছিল কেনও সেই এসপিকে সাসপেন্ড বা বরখাস্ত করা হলনা রাজ্য সরকারের তরফে এমনই দাবি করেন তিনি।