Partha Chatterjee: দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও দলের অবস্থান নিয়ে আত্মবিশ্বাসী পার্থ

রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বিজেপি বারবার তৃণমূল‌ সরকারের রাজত্বের ডেডলাইন নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। ডিসেম্বরী সরকার করতে চলেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গ-বিজেপির প্রথম সারির…

রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল অর্থাৎ বিজেপি বারবার তৃণমূল‌ সরকারের রাজত্বের ডেডলাইন নিয়ে জল্পনা বাড়িয়েছে। ডিসেম্বরী সরকার করতে চলেছে বলে দাবি করেছেন বঙ্গ-বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। তারিখ স্পষ্ট করে দিয়ে বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিসেম্বরের ডেডলাইন নিয়ে মুখ খুললেন জেল হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। তবে জেলে থেকেও তৃণমূলের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। তৃণমূলের কেউ ক্ষতি পারবে না, বলে বার্তা দিয়েছেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আলিপুর আদালতে প্রবেশের মুখে এমনটাই দাবি করলেন শাসক দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। 

চলতি বছরের ২২ জুলাই থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসা মাত্রই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে। অসময়ে তার থেকে দল মুখ ঘুরিয়ে নিলেও দলের প্রতি আনুগত্য এখনও বজায় রেখেছেন প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব। জেল হেফাজতে থাকাকালীন কখনও জানিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল জয়লাভ করবে। আবার কখনও আস্থা রেখেছেন দলের নেতাদের ওপরে। 

   

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি। পার্থ কারনামাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রচারে নেমেছে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তেমনই চলছে জোরকদমে প্রচার। এরই মধ্যে তৃণমূল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মাঝে মধ্যেই পার্থ যা বলছেন তা তৃণমূলের জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পার্থর একের পর এক মন্তব্যের ফলে বিপাকে পড়তে পারে তৃণমূল বলে আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকার পড়ে যাওয়ার যে দিনক্ষণ জানিয়েছিলেন সেই তিনটি দিনের মধ্যে প্রথম দিন আজ। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর এদিন আদালতের নির্দেশে হাজরায় সভা করার কথা রয়েছে শুভেন্দুর। আজ কী বিশেষ ঘটনা ঘটবে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। বাকি রইল ১৪ ও ২১ তারিখ। বিজেপি যেভাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের পড়ে যাওয়ার কথা জনসম্মুখে বলেছে এই নিয়ে ক্রমশই সাসপেন্স বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে এসব কথায় কোনরকম মন্তব্য ও গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।