Panchayat Election: ভোটে দুই জায়ের তু তু ম্যায় ম্যায়, গরম রাজনীতি বাড়িতে নেই

দুই দলের প্রার্থী দুই জা। বাইরে রাজনৈতিক লড়াই, ঘরে সম্পর্ক মধুর। পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গবরু এলাকার কুন্ডু পরিবারের বড় জা ঊষা কুন্ডু তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী আর ছোটো জা বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী। চলছে তাদের প্রচার। তবে ঘরে বা সম্পর্কে নেই কোনও উত্তাপ।

Advertisements

ঊষা কুন্ডু’র স্বামী প্রয়াত লোচনানন্দ কুন্ডু তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। স্বামীর অবর্তমানে দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। বছর সাতান্নর এই উষা কুন্ডু ২০১৮ সালে তৃণমূলের প্রতীকে জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে নেমে জয়লাভ করেছিলেন। সেবারও তার এলাকাতেই তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারই ছোটো জা চন্দনা কুন্ডু।

এই দুই জা-এর বাড়ির দূরত্ব প্রায় দেড়শো মিটার। তবে তাদের মনের দূরত্ব নেই। দুই জা-এর দুটি করে ছেলে। মিল আরো রয়েছে,-দুজনেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে কাজ করেন একত্রে।

উষা দেবী সুপারভাইজার, চন্দনা দেবী শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা। নির্বাচনে ২০১৮ তে একজন জয়ী একজন হেরে গেল কর্ম ক্ষেত্র ও পরিবারে কোনো সমস্যাই হয়নি তাদের।

Advertisements

সচ্ছল অবস্থা সম্পন্ন দুজনেই। তৃণমূলের উষা দেবী বলেন-“দুজনেই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও, লড়াইটা রাজনৈতিক ময়দানেই সীমাবদ্ধ রাখি আমরা। পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের মধুর। রাজনীতির লড়াইয়ে যেই জয়ী হয় বা হারি তার কোনো রকম প্রভাব আমাদের সম্পর্কে পড়ে না। প্রচারে বেরিয়েও একে অপরের বিরুদ্ধে কুৎসা করিনা।”

বিজেপির চন্দনা কুন্ডুর স্বামী একজন গ্রামীন চিকিৎসক। দুই ছেলে বিবাহিত। চন্দনা দেবীও দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে জড়িত। চন্দনা দেবী বলেন-“রাজনৈতিক ময়দানে আমরা যাই করি না কেন বাড়িতে ফিরে সব স্বাভাবিক থাকে। পারিবারিক সম্পর্কে আমাদের কোনো ছেদ পড়েনা। এমনকি আমাদের দুইদলের অনুগামীরা মাঠে নামলেও একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে না। ২০১৮ সালে যা ঘটেছে। এবারেও তাই। দুজনেরই লক্ষ্য এলাকার উন্নয়ন। এবার মানুষ যাকে চাইবে সেই জয়ী হবে।”