বাড়িতে ঢুকে মারধর করে বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণকে অপহরণ করে খুন (Moyna Murder) করা হয়েছে এই অভিযোগে সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ময়না। স্থানীয় বিধায়ক অশোক দিন্দার উপস্থিতিতে বিজেপি সমর্থকরা অবরোধে সামিল। এদিকে বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ১২ ঘন্টা বনধের ডাক দিলেন।
সোমবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ময়না। মঙ্গলবার সকালেও সরগরম পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, বিজেপি কর্মীদের অপরাধ যে পদ্ম পতাকা হাতে তাঁরা রাস্তায় নামেন। এ জন্যই তাঁদের মরতে হয়। ময়নার বাকচা এলাকার ১০০০-এর বেশি বিজেপি কর্মী তৃণমূলের মিথ্যা মামলার কারণে জেল খেটেছে। জঙ্গলের রাজত্বে ময়নাকে পরিণত করেছে তৃণমূল। আমাদের উপর ভরসা রাখুন। সমাধান হবে।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং তাঁর পুলিশকে কী ভাবে সাঁড়াশিতে আটকাতে হয়, সে বুদ্ধি শুভেন্দু অধিকারীর আছে। আমি তা করে দেখাব।
অভিযোগ, সোমবার বিজয়কৃষ্ণের বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী ও পরিবারের সামনেই মারধর করা হয়। এরপর ওই বিজেপু নেতাকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিজয়কৃষ্ণের থ্যাঁতালানো দেহ উদ্ধার হয়। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। ঘটিনার পরেই বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্ব থানা ঘেরাও করে বিজেপি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়না-তমলুক রাজ্য সড়ক অবরোধ করে চলে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। গোটা ঘটনায় প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলুইয়ের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও প্রাক্তন বিধায়কের দাবি পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই ঘটনাটিতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।