ভোট কেন্দ্রে সশরীরে হাজির ‘মৃত’ বৃদ্ধা ভোটার

নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের উপর প্রবল রাজনৈতিক চাপ থাকে – একথা ঠিক। তাই বলে একটা জীবন্ত মানুষকে ‘মৃত’ লেখার আগে একবার দেখবেন না!! এদিন ভোটের সকালে…

vote

নির্বাচন কমিশনের কর্মীদের উপর প্রবল রাজনৈতিক চাপ থাকে – একথা ঠিক। তাই বলে একটা জীবন্ত মানুষকে ‘মৃত’ লেখার আগে একবার দেখবেন না!! এদিন ভোটের সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ধূপগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্র বাসন্তী দেবীর। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ১৫/১৮৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ভোটের ডিউটিতে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার জানান, তার কিছু করার নেই ভোটার তালিকায় ডিলিট রয়েছে তাই ভোট দিতে পারবেন না তিনি, তাই ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই বৃদ্ধাকে। বৃদ্ধার ছেলে উজ্জ্বল দাস বলছেন, “মা একাই ভোট দিতে গিয়েছিল। কিন্তু ওখান থেকে বলে তোমার নাম নেই তুমি মৃত। মা বাইরে এসে আমাদের জানায়। ফের কথা বললে জানায় নামের জায়গায় মৃত লেখা আছে।”

এর পরেও বলতে হবে, নির্বাচন কমিশনের কাজ ‘নিখুঁত’। অন্যদিকে চোখ জল নিয়ে বাসন্তী দেবী বললেন, “আমি তো সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সাড়ে সাতটার সময় ভোট দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরেও ভোট দিতে পারিনি। সরকারের খাতায় নাম নেই বলছে। অনেকক্ষণ ওরা কোথায় কোথায় সব ফোন করল। জেলা শাসকের অফিসেও ফোন করেছিলাম। তারপর বলল আপনি এখন যান। এই বছর আর হবে না। আমাদের এলাকার লোকজনও অনেক চেষ্টা করল। কিন্তু ভোট দিতে পারলাম না। খুবই খারাপ লাগছে।”