ডুবছে উত্তরবঙ্গ, বাঁচার তাগিদে আর্তনাদ সাধারণ মানুষের

ডুবছে বাড়ি, ভাসছে মানুষ। চারিদিকে শুধু জল আর জল। এ যেন অকুল সমুদ্র। নেই কোথাও শুকনো জমি। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি আর এই বৃষ্টির জেরে…

ডুবছে বাড়ি, ভাসছে মানুষ। চারিদিকে শুধু জল আর জল। এ যেন অকুল সমুদ্র। নেই কোথাও শুকনো জমি। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টি আর এই বৃষ্টির জেরে সমস্যায় সাধারণ মানুষ। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলার বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। মানুষের বসবাস বাড়ির মধ্যে জল ঢুকে তা বসবাসের অযোগ্য।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে বৃষ্টিপাত আরো তীব্রতর হতে পারে, বর্তমানে ডুবছে উত্তরবঙ্গ। এরপরে যদি বৃষ্টি আরও ব্যাপক হয় তাহলে পরিস্থিতি এর থেকেও বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।

এইসব এলাকার নদীর জল উপচে পড়ছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে তোর্সা নদীতে। ঘরবাড়ি ডুবেছে বহু মানুষের। তারপরেও যেটুকু সম্বল নিয়ে বেঁচে থাকা যায় সেইটুকুই নিয়ে তারা ছুটছে অন্যত্র প্রাণ বাঁচাতে। ছোট ছোট শিশুদের মাথায় তুলে নিয়ে জলের মধ্যে থেকে সাঁতরে সাঁতরে ডাঙার খোঁজে অসহায় বাবা মায়েরা। চারিদিক জলমগ্ন অথচ এ সবই পানের অযোগ্য। কোথাও এক ফোঁটা পানীয় জল টুকু পর্যন্ত নেই।

এই কয়দিনের বৃষ্টিতে এমন অবস্থা এর পরে তো বৃষ্টি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে চলেছে তখন কোথায় যাবে সাধারণ মানুষ। এখনই সমস্ত বাড়িঘর ডুবে গিয়েছে। এরপর পরিস্থিতি আরো খারাপ হলে বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হলে প্রাণ হারাতে পারে বহু মানুষ।

তাই এখন থেকেই প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ছুটে বেড়াচ্ছে উত্তরবঙ্গবাসীরা। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলতে সবই জলের তলায় তবু যতটুকু হাতের কাছে সম্বল পাওয়া যায় ততটুকু নিয়ে ছোট ছোট শিশু ও পরিবারের লোকজন ছুটছে শুকনো ডাঙ্গার খোঁজে।

নদীর জলস্তর ঘন্টায় ঘণ্টায় বেড়ে চলেছে। উপচে পড়ছে জল। যার ফলে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সাধারণ মানুষ সন্তান সমূহ গবাদি পশু নিয়ে ছুটছে শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে। তবে বৃষ্টি যদি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে তাহলে গোটা এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে।