অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে প্রেমিকা-প্রেমিকার বেঙ্গল সাফারি পার্ক পাড়ি

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে প্রেমিক-প্রেমিকা৷ এবার অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে যুগল পাড়ি দিচ্ছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে৷ এই চিতাবাঘ জুটির নাম দাবাং ও ইভা৷ জনকে…

বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে চলেছে প্রেমিক-প্রেমিকা৷ এবার অন্তরঙ্গ সময় কাটাতে যুগল পাড়ি দিচ্ছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে৷ এই চিতাবাঘ জুটির নাম দাবাং ও ইভা৷ জনকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না এতদিন ধরে দুজনের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা বনকর্মী পার্থ সিনহা ও চিকিৎসক উৎপল শর্মা৷

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্সিয়াংয়ের ডাউহিল এলাকা থেকে মাত্র দুই বছর বয়সে দাবাং-কে উদ্ধার করে আনা হয়েছিল৷ ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত ডানপিটে ও মস্তান প্রকৃতির ছিল সে৷ তাই তার নাম দেওয়া হয়েছিল দাবাং৷ নীলপাড়া রেঞ্জের বিচ চা বাগান থেকে ইভা-কে ছয় মাস বয়সে উদ্ধার করে আনা হয়৷

তখন থেকেই দুজনকে পিতৃস্নেহে লালনপালন করে আসছিলেন বনকর্মী পার্থ সিনহা৷ চিকিৎসার ভার সামলেছেন পশু চিকিৎসক উৎপল শর্মা৷ খয়েরবাড়ি থেকে দাবাং ও ইভা নামের দুটি চিতাবাঘকে যেমন শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে, তেমনি বেঙ্গল সাফারি থেকে এক জোড়া বাঘ ও বাঘিনী সহ আরও এক জোড়া চিতাবাঘকে পাঠানো হচ্ছে ত্রিপুরার সিপাইজুলা চিড়িয়াখানায়৷ এমনটাই জানা গিয়েছে বনদফতর সূত্রে৷

খয়েরবাড়ির বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে এবার অন্তরঙ্গভাবে জীবনযাপন করার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় দাবাং ও ইভা৷ বিদায়ের আগে দুজনকে সযত্নে স্নান করানো হয়৷ খেতে দেওয়া হয় তিন কিলোগ্রাম করে গোরুর মাংস৷ এরপর পশু চিকিৎসক উৎপল শর্মা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন দুজনের৷ সব শেষে জলদাপাড়ার বনাধিকারিক সন্দীপকুমার বেরোয়ালের উপস্থিতিতে দুজনকে পাঠানো হয় বেঙ্গল সাফারি পার্কে৷