Police terror: তৃণমূল কর্মীকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানের ওপর পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগ

পুলিশের কাজ দোষীদের ধরা, নাকি দোষীদের বদলে তার বাড়ির লোকের উপরে অত্যাচার (Police terror) চালানো! অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কর্মীকে খুঁজতে এসেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই সময়…

Baishnavanagar police station

পুলিশের কাজ দোষীদের ধরা, নাকি দোষীদের বদলে তার বাড়ির লোকের উপরে অত্যাচার (Police terror) চালানো! অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল কর্মীকে খুঁজতে এসেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই সময় তিনি ছিলেন না বাড়ি। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ গেট ভেঙে ঘরে ঢুকে তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে হেনস্থা করে। লাঠি দিয়ে মহিলাকে ধাক্কা দেন। ঘরের খাবার, জিনিসপত্র, জামাকাপড় তছনছ করেন। এমনকি ঘরে বিছানার তলায় থাকা ৪৫ হাজার টাকাও লোপাট করে দেয় পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুরে। আর এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগকারী দাবি করেছেন, এই ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে ছিলেন এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। যদিও এই অভিযোগের পাল্টা মন্তব্য করেছেন এএসআই। তিনি বলেছেন, এই ঘটনাটি পুরো সাজানো। আমি আমার ডিউটি করতে গিয়েছিলাম। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মালদার কৃষ্ণপুরে ঠিকাদারি কাজ পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ হয়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী। সেখানেই ছিলেন ফকিরুদ্দিন আহমেদ। থানায় দুপক্ষের তরফেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই ভিত্তিতে বৈষ্ণবনগর থানার এএসআই ফকির উদ্দিনের বাড়ি যান। সঙ্গে ছিলেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। সেইসময় ওই তৃণমূল কর্মী বাড়ি ছিলেন না। ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান। আর এরপরে অভিযোগ করা হয়েছে, ফকির উদ্দিনকে না পেয়ে বাড়িতে তছনছ করে পুলিশ। এমনকি রমজানের মাসের রান্না করা খাবার, বাসনপত্র সমস্তকিছুই ফেলে দেয়।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন, জরুরী ভিত্তিতে আমরা বৈঠক করেছি। আলোচনা করেছি। আমাদের এক প্রতিনিধি দল তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে যাবে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও ব্লকের তৃণমূল সহ-সভাপতি জানিয়েছেন, সোমবার এলাকায় কিছু পুলিশ সন্ত্রাস চালিয়েছে। সন্ধ্যায় বৈষ্ণবনগর থানার এসআই এসে ফকির উদ্দিনের বাড়িতে জোর করে ঢুকে তছনছ করেছে।