Malda: মিজোরাম থেকে কফিন মিছিল মালদায়, পচা গলা শ্রমিকদের দেহ থেকে বেরোচ্ছে পোকা

সড়কপথে সুদূর মিজোরাম থেকে এলো সারি সারি কফিন। পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃতদেহগুলি মালদা (Malfa) জেলা প্রশাসন সরকারিভাবে গ্রহণ করেছে।

malda2

সড়কপথে সুদূর মিজোরাম থেকে এলো সারি সারি কফিন। পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃতদেহগুলি মালদা (Malda) জেলা প্রশাসন সরকারিভাবে গ্রহণ করেছে। জানা গেছে প্রথম দফায় এসছে ১৮ জনের দেহ। বাকি দেহগুলি শনিবার আসবে।মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে পড়ে ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয় গত ২৩ আগস্ট। নিহতদের সবাই পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক।

জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নিহতদের পরিবারকে মৃতদেহ নেওয়ার বিষয়ে সবরকম সরকারি কাজে সাহায্য করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ মালদা মেডিকেলে এসে পৌঁছয় কফিনগুলো। জেলা প্রশাসন শনিবার নাম ও পরিচয় মিলিয়ে সেই দেহ হস্তান্তর করবে।

   

মিজোরাম থেকে সড়ক পথে মালদায় পৌঁছতে যে সময় লেগেছে তাতে মৃতদেহগুলিতে পচন ধরেছে। পোকা বেরোচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রবল। রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠছে শ্রমিকদের জীবন নিয়ে ছেলে খেলার অভিযোগ।

malda2

মিজোরামের নির্মীয়মান ব্রিজ ভেঙে ২৪ জন শ্রমিকের মৃত্যুর পর শুক্রহার মালদায় পৌছে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। রেলের তরফে নিহতদের পরিবার পিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।

মালদার পুখুরিয়ার চৌদুয়া গ্রামেই সর্বাধিক মৃত্যু। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মিজোরামে নিহত  শ্রমিকদের মধ্যে ১৬ জনই পুখুরিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ইংলিশ বাজারের ৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। কালিয়াচকের ১ জন, গাজলের ১ জন মৃত। পুখুরিয়ার চৌদুয়া গ্রামেই একই পরিবারের ছয় জন মৃত।

মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরে সাইরাং এলাকায় নির্মাণাধীন রেলওয়ে সেতু ভেঙে পড়ে। পাহাড়ি এলাকার মধ্যে দিয়ে ১০৪ মিটার উঁচু এই রেল সেতু বানানোর বিষয়টি বারবার সাফল্যের দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব ও এনডিএ সরকার। উচ্ছসিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলা হয়েছিল, সেতুটি দিয়ে রেল যোগাযোগে দুর্গম উত্তর পূর্বাঞ্চলকে নতুন দিশা দেখানো হল। সম্পূর্ণ তৈরি হওয়ার আগে সেই সেতু ভেঙে পড়ে। এর জেরে প্রবল বিতর্কে মোদী সরকার। বিতর্কে উত্তর পূর্ব রেল দফতর।