Teesta Flood: ত্রিবেণীকে গিলে খেল তিস্তা, বিখ্যাত পান্না-সবুজ স্ফটিক জলের রঙ্গীত উধাও!

এমন তিস্তার কাছে ‘প্রমত্তা’ পদ্মা- ‘বাংলার দুঃখ’ দামোদরের সর্বনাশা চেহারাও যেন ফিকে পড়ছে। সিকিমের লোনাক হ্রদ ফেটে যে পরিমাণ হিমবাহ গলিত জল ভয়াবহ আকার নিয়ে…

এমন তিস্তার কাছে ‘প্রমত্তা’ পদ্মা- ‘বাংলার দুঃখ’ দামোদরের সর্বনাশা চেহারাও যেন ফিকে পড়ছে। সিকিমের লোনাক হ্রদ ফেটে যে পরিমাণ হিমবাহ গলিত জল ভয়াবহ আকার নিয়ে তিস্তায় নেমে এসেছে, সেই স্রোতের ধাক্কায় (teesta flood) বিখ্যাত ত্রিবেণীর রূপ উধাও। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার মাঝে এই এলাকায় এখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের করাল আঘাত।

দার্জিলিং পাহাড়ি এলাকা থেকে স্থানীয় বসিন্দাদের মোবাইলে তোলা ছবি সামাজিক মাধ্যমে আসতেই পর্যটকরা মুষড়ে পড়ছেন। কোথায় সেই ত্রিবেণী সঙ্গমের নৈসর্গিক দৃশ্য! চারিদিকে ঘোলাটে আস্তরণ। উধাও হয়ে গিয়েছে বিখ্যাত পান্না সবুজ স্ফটিক জলের নদী রঙ্গীত! ভূবিশেষজ্ঞরা বলছেন, রঙ্গীত আছে নিজের মতো, তবে তিস্তার ভয়াবহ স্রোতে সাময়িক অদৃশ্য। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে রঙ্গিত ও তিস্তার জল ত্রিবেণী সঙ্গমে মিশে যাওয়ার পরও ঘনত্বের কারণে আলাদা করা যায়। সেখানে অত্যন্ত স্পষ্ট থাকে ঘন সবুজ রঙা রঙ্গিত। এখন তিস্তার জল সেই রূপকেই গিলে নিয়েছে।

বিখ্যাত ত্রিবেণী সম্পর্কে দার্জিলিং জেলা পর্যটন বিভাগের বর্ণনা এমন, এখানে দুটি নদীর সঙ্গম। রঙ্গিত নদী তার গভীর সবুজ এবং স্ফটিক স্বচ্ছ জলের সাথে তিস্তা ত্রিবেণী নামে একটি বিন্দুতে শক্তিশালী পাহাড়ি স্রোত তিস্তার সাথে মিশে গিয়েছে। সুবিখ্যাত এই বর্ণনা জেলা পর্যটন বিভাগে জ্বলজ্বল করলেও এখন ত্রিবেণীর পরিস্থিতি করুণ। স্থানীয়দের তোলা ছবিতে স্পষ্ট তিস্তার গ্রাসে ধংস ত্রিবেণী। ঘোলা জল আর পলিমাটিতে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। ধংস হয়ে গেছে রাফটিং ও ক্যাম্প সাইট। সাম্প্রতিক সময়ে এমনটা ঘটেনি ত্রিবেণীতে।

পডুন কলকাতা ২৪ x ৭ এর বিশেষ প্রতিবেদন। পাঁচ দশক আগে হিমালয়ের লোনাক হ্রদ নিয়ে কী লিখেছিল মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা CIA: Sikkim: তখন সিকিম ‘স্বাধীন’, সিআইএ’র সেই রহস্যজনক রিপোর্টে লেখা ছিল বিপজ্জনক হ্রদ লোনাক

সিকিম তছনছ। প্রাকৃতিক বিপর্যের প্রভাব পড়েছে সিকিম লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গেও। সিকিমের লাগোয়া কালিম্পং, তিস্তার নিম্ন অববাহিকার জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে আর মোহনা অঞ্চল বাংলাদেশে জারি সতর্কতা। তবে দার্জিলিং জেলায় তিস্তার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার কারণ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নেই বলে জানান জেলাশাসক ড. প্রীতি গোয়েল। তিনি বলেছেন জেলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সমস্ত ব্যক্তিকে সময়মতো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কালিঝোরা, সেভক এবং ত্রিবেণী থেকে আগেই সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আমরা তিস্তা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শিবির চালাচ্ছি যেখানে দার্জিলিং থেকে কিছু লোক এবং কালিম্পং থেকে অনেক লোক আশ্রয় নিয়েছেন।