বন্ধ হচ্ছে চা-বাগান, উৎসবের আগে চোখে জল চা-শ্রমিকদের

পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একের পর এক চা বাগান। শুক্রবার দুটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালা ঝুলল আরও…

পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ডুয়ার্সের একের পর এক চা বাগান। শুক্রবার দুটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তালা ঝুলল আরও এক জোড়া চা বাগানে। মহালয়ার সকালে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের কাঁঠালগুড়ি ও চমুর্চি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেল। শনিবার সকালে চা বাগানে শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে দেখতে পান, তালা বন্ধ গেট। বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছেন মালিক কর্তৃপক্ষ।

গত দুদিনে এই নিয়ে ডুয়ার্সে মোট চারটি চা বাগান বন্ধ হয়ে গেল। কিছুদিন আগে আরও একটি চা বাগান বন্ধ হয়েছিল। সব মিলিয়ে পুজোর মুখে মোট পাঁচটি চা বাগান বন্ধ হল জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের চা বলয়ে। পুজোর মুখে চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে শ্রমিকদের। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক। পুজোর মুখে যখন গোটা বাংলা উৎসবের মেজাজে, তখন রোজগারের চিন্তায় দিশেহারা এই চা বাগানের শ্রমিকরা। কীভাবে সংসার টানবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না কর্মহীন চা শ্রমিকরা।

আজ সকালে চা বাগানের গেটে তালা ঝুলতে দেখে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তারা। চা বাগানের গেটের বাইরে প্রতিবাদ বিক্ষোভও চলে। পুজোর মুখে শ্রমিকদের কথা না ভেবেই এভাবে চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন ডুয়ার্সবাসী।

স্থানীয় থানার পুলিশকর্মীরাই ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে একের পর এক চা বাগানের গেটে তালা ঝুলতে থাকায় ডুয়ার্সবাসীর ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এদিকে চা শ্রমিকদের বিক্ষোভের মধ্যে আজ সকালেই কাঠালগুড়ি চা বাগান এসে পৌঁছেছেন বাগানের ম্যানেজার।