দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে শান্তির বার্তা মমতার

অয়ন দে, নাগরাকাটা: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই গভীর রূপ নিচ্ছে। বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি কার্যক্রম তদারকি করতে এগিয়ে…

অয়ন দে, নাগরাকাটা: উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই গভীর রূপ নিচ্ছে। বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরাসরি কার্যক্রম তদারকি করতে এগিয়ে এসেছেন। তিনি প্রথমে হাসিমারায় দুর্গত মানুষদের সঙ্গে দেখা করেন, তাঁদের সমস্যা শোনেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নাগরাকাটায় ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে যান এবং সরাসরি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করেন।

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে বলেন, “আমার আন্তরিক আবেদন, এই দুর্যোগে বহু মানুষ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁদের কষ্ট আমরা গভীরভাবে অনুভব করছি। তবুও, এই কঠিন সময়েও আমাদের মনে রাখতে হবে, একতা ও ধৈর্যই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।” তিনি সকলকে অনুরোধ করেন, সাহস হারাবেন না, সংযম বজায় রাখুন এবং প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।

   

তিনি আরও বলেন, “সরকার ও প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে মানুষের পাশে আছে। আমরা সবাই মিলে এই দুর্যোগ কাটিয়ে উঠব। দয়া করে শান্ত থাকুন, গুজবে কান দেবেন না এবং চারপাশের মানুষকে সহযোগিতা করুন। এই সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা কাম্য নয়। আমরা একে অপরের পাশে থেকে একসাথে এই সংকটের মোকাবিলা করব।”

উল্লেখযোগ্য, মুখ্যমন্ত্রী নাগরাকাটা পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা চা বাগানে ঢোকার মুখে এই ঘটনা ঘটে। বিজেপি অভিযোগ করেছে, তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে, যদিও তৃণমূল এটিকে ‘কর্মফল’ বলে দাবি করেছে। এই ঘটনার উল্লেখ না করেও মুখ্যমন্ত্রী তার বার্তায় শান্তি ও সংযম বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জোর দেন, সকলকে ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখতে হবে। তিনি স্থানীয়দের সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানান এবং আশ্বাস দেন যে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন সর্বাত্মকভাবে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাঁধ ভাঙা, নদীর অতিবৃদ্ধি এবং ভূমিধসের কারণে প্রচুর মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্যক্রমে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই সরাসরি পদক্ষেপ এবং মানুষের সঙ্গে দেখা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং মনোবল জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মানুষকে একত্রিত ও নিরাপদ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনও সক্রিয়ভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা সংকটকালীন সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।