Malda: রাজ্যপালের কাছে রেলে চাকরির দাবি করলেন নিহত শ্রমিকদের আত্মীয়রা

মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে মালদার ২৪ জন শ্রমিক নিহত। তাদের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার মালদা (Malda) গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দেখা…

মিজোরামে রেলের সেতু ভেঙে মালদার ২৪ জন শ্রমিক নিহত। তাদের দেহ আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুক্রবার মালদা (Malda) গিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দেখা করলেন নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের আত্মীয়দের সাথে। তাঁর কাছে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা রেল দফতরে চাকরির দাবি করেন।

গত ২৩ আগস্ট মিজোরামে নির্মীয়মান রেল সেতুর অংশ ভেঙে পড়ে। এই ভয়াবহ দুর্ঘঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ২৪ জন শ্রমিক মৃত। এরা সবাই মালদা জেলার বাসিন্দা। এর মধ্যে পুখুরিয়া থানার ১৬ জন, কালিয়াচকের ১ জন, গাজলের ১ জন, ইংলিশবাজারের ৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের পর গ্রামে শ্রমিক পরিবারগুলিতে হাহাকার। একেকটি পরিবারে একাধিক নিহত। পুখুরিয়া থানা এলাকার কাকলামারির চৌদুয়ার গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। চৌদুয়া গ্রামেই একই পরিবারের ছয় জন মৃত।

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর শুক্রবার মালদা এসে নিহতদের আত্মীয়দের সাথে দেখা করেন রাজ্যপাল। দেন সাহায্যের আশ্বাস। এদিকে নবান্ন সূত্রে খবর নিহতদের দেহ আনার জন্য মিজোরাম সরকারের সাথে আলোচনা হয়েছে। মালদায় পৌঁছে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই দুর্ঘটনায় রেল প্রশাসনের তরফে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা তুলে ধরেন তিনি। মালদা টাউন স্টেশন পৌঁছে প্রথমেই রাজ্যপাল রেল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তার বিস্তারিত বিবরণ নেন। সেখানে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে যায়। তারা জানায় যে দু লক্ষ টাকা রাজ্য সরকার এই মৃতদের পরিবারকে দেবে তা পর্যাপ্ত নয়। এই ক্ষতিপূরণের অঙ্ক যেন বাড়ানো হয়। এবং তার সঙ্গে মৃতদের পরিবারের একজন করে যেন সরকারি চাকরি দেওয়া হয়। সেই নিয়ে যেন রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে কোনও ব্যবস্থা নেন।

রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রেল মন্ত্রক যে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন শুধু সেই টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা যাবে না। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এই স্বজন হারাদের পাশে দাঁড়ানো। মৃতদের পরিবার কাতর আর্জি জানিয়েছেন যে, যেহেতু তাদের পরিবারের লোক রেলের কাজ করতে গিয়েই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। তাই তাদের যেন রেলের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।